দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোয় অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। তার শারীরিক অব্স্থা নিয়ে তাদের শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। তাকে সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার দেয়ার জন্য সরকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। আদালত বিষয়টি মানবিকভাবে দেখবেন বলেও আশা করেছে দলটি।মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ কথা বলেন।মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর কিছু আগেই তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন।আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, নিম্ন আদালত তার স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করে তাকে জামিন দেবেন যাতে তিনি তার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিরোধী দলের সাথে রাজনীতি করবেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়। কিন্তু কাউকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হবে অত্যন্ত অমানবিক।আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। তার হৃদরোগ সহ ঘাড়ে ক্যারোটিড আর্টারিতে ছিদ্র রয়েছে। এ বছর প্রায় ছয় মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিন প্রদান করায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুরে কয়েক দফা চিকিৎসা নেন। কিন্তু তার ক্যারোটিড আর্টারিতে ছিদ্রটির অবস্থান খুবই জটিল হওয়ায় তা শৈল্য চিকিৎসার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তাঁর অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, কয়েক দিন আগেও মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য ফলোআপে যান এবং এ মাসের ২৪ তারিখে সিঙ্গাপুরে তার আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার তারিখ ছিল।এসময় তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মিথ্যা মামলায় জর্জরিত কারারুদ্ধ সব নেতার মুক্তির দাবি জানান তিনি।সরকার ছায়ার সঙ্গে শত্রু শত্রু খেলায় লিপ্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,‘বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অকারণেই সরকার শত্রু ভাবছে।প্রসঙ্গত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের নির্দেশে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।