image_147551_0

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০১৫: প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও সামপ্রতিক সময়ের সব ব্লগার হত্যার পূর্ণ তদন্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এ কথা বলেন৷ একই সঙ্গে এ ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বানও পুনবর্্যক্ত করা হয়েছে৷স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশে আমরা যে প্রকাশককে হত্যা করতে দেখেছি, আমাদের অবশ্যই তার তীব্র নিন্দা জানানো উচিত৷

সাংবাদিক হত্যা-সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিবের বরাত দিয়ে মুখপাত্র বলেন, গত ১০ বছরে ৭০০-এর বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ সাংবাদিক হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে৷ এ ছাড়া ১০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে একটির কম ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হয়েছে৷জাতিসংঘ জোর দিয়ে বলেছে এমনটা জানিয়ে ওই মুখপাত্র বলেন, সাংবাদিকেরা যাতে স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীকে আরও কাজ করতে হবে৷

দেশে গত আড়াই বছরে ১০ ব্লগার নিহত হয়েছে৷ শুধুমাত্র রাজিব হায়দারের হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়েছে৷ দুজন বিদেশি নাগরিক খুন হলো৷ হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলায়ও ঝড়ে গেল দুটি তাজা প্রাণ৷ সর্বশেষ শনিবার একজন প্রকাশক-ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো৷ নিহত ব্লগার বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে৷একই দিন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হলেন দুই ব্লগারসহ আরেক প্রকাশক৷ হামলায় আহত শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ, লেখক-ব্লগার তারেক রহিম ও রনদীপম বসু দেশের এমন পরিস্থিতিতে সব বাহিনী খুব সক্রিয় হলেও একের পর এক এই হত্যা-হামলার দায় এড়াতে পারেন না তারা৷এমনটিই বলছেন সংশ্লিষ্টরা৷৩১ অক্টোবর তিন জনকে আহত ও একজনকে মেরে ফেলার পর আনসার আল ইসলাম আল কায়েদা উপমহাদেশ শাখা টুইটারে একটা বিশ্লেষণ দেয়৷

বিশ্লেষণের শিরোনাম আহমেদুর রশীদ টুটুল ও ফয়সল আরেফিন দীপনের অপরাধ সমূহ’৷ সেখানে দীপনের অপরাধ দুটি৷ তাদের ভাষ্যমতে, একটা অপরাধ হল- অভিজিত্‍ রায়ের বিশ্বাসের ভাইরাস ও অবিশ্বাসের দর্শন ছাপানো৷ সেখানে ইসলামকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷

তিনি বলেন, ফয়সল আরেফিন দীপনের দ্বিতীয় অপরাধ হিসেবে লেখা হয়, আলেম-ওলামাদের কটাক্ষ করে আহসান কবিরের রম্য লেখা ছাপানো৷ জিডিতে উল্লেখ করেছি, আমার কোনো বইয়ে কোনো ধমের্র পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো শব্দ বা বর্ণও লিখিনি৷

আহসান কবির জানান, দীপনের জাগৃতি প্রকাশনী থেকে তার ১৬টি বই বেরিয়েছে, যার মধ্যে ৫/৬টা উপন্যাস; বাকিগুলো রম্য রচনা৷টুটুল সাধারণ ডায়েরি করেছিল৷ অভিজিতের বই করার জন্য দীপনকেও মেরে ফেলা হল৷ এখন আমার নাম নতুন করে যুক্ত হল৷