দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০১৫: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নতুন বেতনকাঠামো চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে৷ তবে আগামী ১ জানুয়ারি সরকারি চাকরিজীবীরা বকেয়াসহ নতুন স্কেলের রেবতন পাবেন ৷সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷এর আগে অ্যাটমিক এনার্জি বৈজ্ঞানিক সমিতি এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন৷অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগে যেসব কর্মকর্তা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছেন, তাদের সে সুবিধা বহাল থাকবে৷ যাঁরা এটি পেয়েছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না৷অর্থমন্ত্রী জানান, তবে বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল থাকবে না৷এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা পেয়েছেন৷ তাঁদেরটা বহাল থাকবে৷ নতুন বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারির আগে যাঁরা সিলেকশন গ্রেড দিতে পারেননি তাঁরাও এখন দিতে পারেন৷ দিলে যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে, তখন ওই সুবিধা ধরেই বেতন নির্ধারণ করা হবে৷ যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না৷
বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন৷আবুল মুহিত জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে ডিসেম্বর মাসের যে বেতন হবে, সেটা নতুন কাঠামো অনুযায়ী হবে৷তবে ওই বেতনের সঙ্গে এরিয়ার যাবে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টস অফিসারদের উপর নির্ভর করছে, যারা সবগুলো বিল করতে পারবে, তারা পাবে৷সচিবালয়ে হয়তো কিছুটা সমস্যা হবে৷ কারণ সংখ্যাটা অনেক বড়৷ তবে পাওনা তো হয়েই থাকবে, সে পাবেই৷এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেরি হলে ভালো, জমা হয়ে থাকল৷সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল ধরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গত ৭ সেপ্টেম্বর অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন পায় মন্ত্রিসভায়৷ এই কাঠামো অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতন পাবেন ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে৷ এক্ষেত্রে ১ জুলাই থেকেই এরিয়ার কার্যকর হবে৷এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের পৃথক প্রতিনিধি দল বেতন কাঠামো নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন৷