file (7)

দৈনিকবার্তা-খুলনা, ৩ নভেম্বর ২০১৫: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্যানেল মেয়র-১ আনিসুর রহমান বিশ্বাসকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ সিটি কর্পোরেশনের অধ্যাদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ এক পত্রে আনিসুর রহমান বিশ্বাসকে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানান৷গত সোমবার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ( কেসিসি) মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর কে হবেন নগর পিতা এই আলোচনায় মুখর ছিল খুলনা মহানগরী৷২০০৯ সালে প্রণীত সিটি কর্পোরেশন অধ্যাদেশের ১২/২ ধারা অনুযায়ী কোনো কারণে মেয়রের পদ পূরণ না হলে সেখানে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্যানেল মেয়র-১ দায়িত্ব পালন করবেন৷ সেই ধারা অনুযায়ী আনিসুর রহমান বিশ্বাস ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব লাভ করেন৷উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন আনিসুর রহমান বিশ্বাস৷ সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৫ জুনের নির্বাচনে জয়লাভের পর ৩ অক্টোবর প্যানেল মেয়র নির্বাচনে তিনি ১ নম্বর প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হন৷ এরপর থেকে আনিস ৬ দফায় ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন৷আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, সবাইকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজ করে যাব৷

এদিকে, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সিটি মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনিকে সিটি কপের্ারেশন মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাসত্ম করায় খুলনা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি৷ মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির নগর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ এর প্রেরিত প্রজ্ঞাপনে যে কারন দেখিয়ে তাকে সাময়িক বরখাসত্ম করা হয়েছে তা সম্পর্ুন অসত্য ও মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে৷ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে খুলনা থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ১৯ তারিখ ২৬ নভেম্বর’১৩ এর অভিযোগপত্র সমুহ নং ১০৪ ও ১০৪ (ক) তারিখ ৩০.৪১৫ এবং খুলনা থানায়\\ মামলা নং ৫ তারিখ ৪.১.১৪ এর অভিযোগপত্র নং ১৫৯ তারিখ ৩১.৫.১৫ বিজ্ঞ আদালত কতর্ৃত গৃহিত হয়েছে৷ এবং যেহেতু স্থানীয় সরকার সিটি কপের্ারেশন আইন ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬০নং আইন) এর ধারা ১২ এর উপধারা (১) মোতাবেক সিটি কপের্ারেশনের মেয়রের বিরম্নদ্ধে ফৌজধারী মামলায় অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কতর্ৃক গৃহীত হলে তাকে সাময়িক বরখাসত্ম করার বিধান রয়েছে সেহেতু উলেস্নখিত আইনের ৰমতাবলে মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে বহিস্কার করা হয়েছে৷ মঞ্জু বলেন প্রথমত যে দুটি মামলার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে তা মিথ্রা ও রাজনৈতিক হয়রানী মুলক৷ ২০১৩ সালে বিরোধ িদল শানত্মিপুর্ন অবরোধ কর্মসুচি চলাকালে পাওয়ার হাউজের মোড়ে ২০ দলের শানত্মিপুর্ন সমাবেশে পুলিশের বাধাদান, গ্রেপ্তার ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা ও হাতবোমা নিৰেপের ঘটনায় সময় মেয়র সহ ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়৷ কিন্তু উলেস্নখিত ঘটনায় খুলনা থানার পুলিশ গভীর রাতে সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, নগর সভাপতি নজরম্নল ইসলাম মঞ্জুসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন৷ একইভাবে ২০১৪ সালে হরতালের দিনে একটি ইজিবাইক ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা তারা আসামী হন৷ মামলা দুটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানীমুলক তারপরও পুলিশ মামলা দুটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে৷ যা আদালতে আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও গ্রহন করেনি বা গৃহিত হয়নি৷ অথচ প্রজ্ঞাপনে অসত্য তথ্য দিয়ে সিটি মেয়রকে বরখাসত্ম করা হয়েছে৷ সংবাদ সম্মেলনে নজরম্নল ইসলাম মঞ্জু আরো বলেন সরকার বিএনপিকে নিশ্চিনহ করতে চায়৷ দেশে গনতন্ত্রের লেশমাত্র নেই৷ মানুষের নিরাপত্তা নেই৷ আইনের শাসন আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই৷ দেশব্যাপী চলছে মিথ্যা মামলা হামলা আর গ্রেপ্তারের রাজনীতি৷ বর্তমান সরকার বিএনপিকে নেতৃত্ব শুণ্য করার নীল নকশা করছে৷ সরকারের জঙ্গিতত্ত্ব, বিদেশে চিকিত্‍সাধীন নেত্রীর বিরম্নদ্ধে মিথ্যাচার, বিদেশী হত্যা, ব্লগার হত্যা, শিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলার দায় বিএনপির উপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে৷ বিএনপির দলীয় সকল জনপ্রতিনিধিদের বরখাসত্ম করা বিগত নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ৷ মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ সংবাদ সম্মেলনে নব্য বাকশালী একব্যক্তির শাসনের প্রতিবাদ জানানো হয়৷