দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০১৫: এলাকা ভিত্তিক ৪০ ভাগ কোটা রেখে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷এ নীতিমালা অনুযায়ী, ১ম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবশ্যিকভাবে লটারির মাধমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে৷ লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে৷ ২য়-৮ম শ্রেণির শূন্য আসনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে৷ নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রস্তুতকৃত মেধাক্রম অনুসারে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পর অবশিষ্ট শূন্য আসনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ভর্তি কমিটি কর্তৃক বাছাই করতে হবে৷
বিদ্যালয়সমূহের অবস্থান, শিক্ষার্থীদের সুবিধা/অসুবিধা বিবেচনা করে পরীক্ষা কমিটি বিদ্যালয়সমূহকে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিভক্ত করতে পারবে৷ শিক্ষার্থীরা আবেদন ফরমে পছন্দক্রম উল্লেখ করে দিবে৷ আগামী ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে সকল মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন গ্রহণ, আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ অনলাইনে করতে হবে৷ ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ হতে দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে৷ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয়সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে৷ অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সকল সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন পধঃপযসবহঃ ধত্বধ নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে৷সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভতির্র নীতিমালা ২০১৫ এর বিস্তারিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাই পাওয়া যাবে৷এর আগে বেসরকারি স্কুল/স্কুল এন্ড কলেজে মাধ্যমিক ,নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০১৫ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়