nrb

দৈনিকবার্তা-টাঙ্গাইল, ২ নভেম্বর ২০১৫: টাঙ্গাইল- ৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচন ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে দেয়া রুল ওই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ে টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে দেওয়া রুল আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে হাই কোর্টে নিষ্পত্তি করতে হবে; ওই সময় পর্যন্ত স্থগিত থাকবে টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ নির্বাচনের সব কার্যক্রম।এ বিষয়ে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতের জন্য নির্বাচন কমিশনের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ২১ অক্টোবর রুল দিয়েছিল হাই কোর্ট।

সেই রুলের নিষ্পত্তির জন্যই আপিল বিভাগ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় ঠিক করে দিয়েছে বলে কাদের সিদ্দিকীর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী জানান।তিনি বলেন, বিচাপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে এই রুল শুনানি হবে। ওই সময় পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত থাকবে।আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন মো. ইয়াসিন খান।

হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করায় টাঙ্গাইল-৪ আসন শূন্য হয়। ওই আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে তার ভাই কাদের সিদ্দিকীসহ মোট দশজন মনোনয়নপত্র জমা দেন।নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান বাছাই শেষে কাদের ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।কাদের সিদ্দিকীর একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ খেলাপ করেছে যুক্তি দেখিয়ে গত ১৩ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।এর বিরুদ্ধে কাদের নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২০ অক্টোবর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি।ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন আদালত কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশসহ রুল দেয়।

হাই কোর্টের আদেশে ২২ অক্টোবর সব প্রার্থীদের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীকেও প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তার মনোনয়নপত্র নিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে ২৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন নির্বাচন কমিশন।পরদিন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত বিষয়টি ২ নভেম্বর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন এবং ওই সময় পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলেন।এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নির্বাচন কমিশনের আবেদনটি আপিল বেঞ্চে ওঠে। শুনানি শেষে আদালত তা নিষ্পত্তি করে হাই কোর্টে রুল শুনানির আদেশ দেয়।