দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ০২ নভেম্বর ২০১৫: ঝিনাইদহে পুলিশের সফল অভিযানে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল থেকে ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। জানা যায়, পুলিশের আইজিপি’র নির্দেশে দেশ ব্যাপি রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ট্রাফিক বিভাগকে সহযোগিতা করার জন্য সকল থানাকে বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করেন। ঝিনাইদহ জেলায় এ অভিযান কঠোরভাবে পরিচালিত হয় । ফলে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেলের মালিকরা তার মোটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য বি.আর.টি-এর অফিসে ভীড় জমাতে শুরু করে। রেজিষ্ট্রেশনের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বি.আর.টি-এর নির্ধারিত ব্যাংকে রীতিমত লাইন পড়ে যায়। ঝিনাইদহ জেলায় গত কয়েক মাস যাবত দুটি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার দীর্ঘ লাইন পরিলক্ষিত হয়েছে। বি.আর.টিএর তথ্য অনুযায়ী গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল থেকে প্রায় দশ কোটি পঁচিশ লক্ষের অধিক টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হয়েছে। এছাড়াও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে এর আগে উঠতি বয়সের ছেলেরা যেভাবে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গী করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিকট শব্দ করে মোটর সাইকেল চালাত, এখন আর সেটা দেখা যায় না।
ঝিনাইদহ জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন জানান, এই অভিযানের ফলে একদিকে যেমন বিপুল অংকের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে, অন্য দিকে মোটর সাইকেল চালনার ক্ষেত্রে শৃংখলা ফিরে এসেছে। এ ছাড়া মোটর সাইকেলের মাধ্যমে যে সব অপরাধ সংঘটিত হতো সেটা অনেকাংশে কমে এসেছে। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত আই.জি.পি মহোদয়ের একটা আদেশে যদি দেশ থেকে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাহলে বাস এবং ট্রাকে ব্যবহৃত শ্রবণ শক্তির মারাত্মক ক্ষতিকর উচ্চমাত্রার হাইড্রোলিক হর্ণ কঠোর হস্তে বন্ধ করার জন্য যদি নির্দেশ দেওয়া হতো, তা হলে উচ্চ রক্তচাপ রোগী সহ সাধারণ মানুষ এই অসহনীয় যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেত। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, পুলিশের আইজিপি’র নির্দেশে ঝিনাইদহে রেজিষ্টেশন বিহীন মোটর সাইকেলের সংখ্যা প্রায় শুণ্যের কোঠায় আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও এ পদক্ষেপের কারণে জেলার অপরাধ প্রবণতা কমেছে সেই সাথে এ জেলা থেকে সরকারী কোষাগারে রেকর্ড পরিমান রাজস্ব জমা হয়েছে।