007_153924

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ নভেম্বর ২০১৫: আগে যেসব ব্লগাকে হত্যা করা হয়েছে সেসবের সঠিক বিচার হলে শনিবারের ঘটনা ঘটতো না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। রোববার কমিশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।ইরাকে গিয়ে প্রতারিত হয়ে ফিরে আসা ১৪ জন রোববার তাদের অভিযোগ জানাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের মধ্যে ধর্মান্ধ লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।তিনি বলেন বিচারে শৈথিল্য বিরাজ করছে। এ শৈথিল্য কেন, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে।

মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠি থাকতে পারে, যারা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাতে ইন্ধন দিচ্ছে।শনিবার শাহবাগে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সাল আরেফিন দীপন। একই দিনে লালমাটিয়া শুদ্ধস্বর প্রকাশনা কার্যালয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়।হত্যাকাণ্ডের পর দীপনের ক্ষুব্ধ বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না, যেটা ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদেরকে আশার বানী শোনাবে এই দুই/এক দিনের মধ্যে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে, সনাক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা এই ঘুমপাড়ানির গল্প আর শুনতে চাই না।

রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রকাশক-লেখকদের দেখতে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।মিজানুর রহমান বলেন, এই যে ব্লগারদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। দ্রুত গতিতে অপরাধীদের সনান্ত করতে হবে। বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই অপরাধীরা যদি দণ্ডপ্রাপ্ত না হয়, ধরা না পড়ে তাহলে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। উগ্রধর্মান্ধরা বেশি উৎসাহ বোধ করবে।তিনি বলেন, অভিজিৎসহ কয়েকজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্বের এ ঘটনাগুলোয় আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, সেইসব অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য ওই কাজগুলো এখনও করা হয়নি।