দৈনিকবার্তা-পটুয়াখালী, ০১ নভেম্বর ২০১৫: পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিত্সক সংকট ও ধারণ ক্ষমতার দু’-তিন গুণ বেশি রোগী থাকায় ব্যহত হচ্ছে এখানকার চিকিত্সা সেবা৷ এ অবস্থায় অনেক রোগীকে হাসপাতাল থেকে চিকিত্সা না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে৷ আর বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কতর্ৃপক্ষ৷ পটুয়াখালী জেলার প্রায় ১৬ লাখ জনগোষ্ঠীর আধুনিক ও উন্নত চিকিত্সা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ২৫০ শয্যার এই হাসপাতাল৷ বর্তমানে হাসপাতালে গড়ে চার’শ থেকে সারে চার’শ রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকছে৷ এ অবস্থায় হাসপাতালে আসা রোগীরা মানসম্পন্ন চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ হাসপাতালে সবচেয়ে বেহাল অবস্থা শিশু বিভাগের৷ সরকারিভাবে এই বিভাগে ২৫ টি বেড থাকলেও বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে ৬০ টি বেডের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ৷ এর পরেও প্রতিদিন গড়ে দেড় শতাধিক শিশু ভর্তি থাকে এখানে৷ বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে অনেককেই হাসপাতালের মেঝে কিংবা বারান্দায় জায়গা দিতে হয় ৷
একই অবস্থা হাসপাতালের অন্যসব বিভাগ গুলোতেও৷ অনেক বিভাগেই নেই পর্যাপ্ত বেড সহ রোগীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা৷ আর হাসপাতালের টয়লেটসহ পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা আরো বেহাল৷ বছর বছর নামে মাত্র পটুয়াখালী গনপূর্ত বিভাগ হাসপাতালের টয়লেটসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করলেও তা স্থায়ীত্ব খুবই কম৷এদিকে হাসপাতালের জরম্নরী বিভাগ, বহি:র্বিভাগসহ সব বিভাগেই রয়েছে চিকিত্সক সংকট৷ হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টের ১০ টি পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন পাঁচ জন, জুনিয়র কনসালটেন্টের ১১ টি পদের বিপরিতে কর্মরত আছেন সাত জন এবং মেডিকেল অফিসার সমমানের ৩৫টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন ডাক্তার৷ এ’ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিত্সা সেবা৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সংকট সমাধানে পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যার হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপানত্মরের বিকল্প নেই৷ পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাপসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ নজরম্নল ইসলাম বলেন, ‘পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হসপাতালকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপানত্মর করা হলে এটি তখন পাঁচ’শ শয্যা হাসপাতালে পরিনত হবে৷ এতে করে শয্যার পরিমান বাড়ার পাশা পাশি প্রয়োজনীয় জনবলও পাওয়া যাবে’৷জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটিকে দ্রুত ৫শ’ শয্যায় উন্নীত করার দাবি এই অঞ্চলের মানুষের৷