দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ নভেম্বর ২০১৫: বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মনিটরিংয়ে পাওয়া তথ্য মতে গত অক্টোবর মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৪৯ জন। তার মধ্যে আহত ১ হাজার ৮৬৩ এবং নিহত ৪৮৬ নারী, পুরুষ ও শিশু। রোববার দুপুরে ডিআরইউতে (সম্প্রসারিত মিলনায়তনে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেয় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অক্টোবরে এসিডে ঝলসে গেছে ৫ জন নারীর শরীর, যৌতুকের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে ১৩ জন নারীকে। অথচ গত তিন মাসে গড়ে ৩ জন নারীকে প্রাণ দিতে হয়েছে যৌতুকের বলি হয়ে।লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর সিরাজ উদ্দিন বলেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোমায় আহত ও নিহতের সংখ্যা ১২৩ জন। এ মাসে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় আহত ও নিহত হয়েছে শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু যা ৪০০ বছরের ইতিহাসে ইতিপূর্বে কখরো ঘটেনি।
তিনি বলেন, গত একমাসে ১৮ জন মানুষকে কথিত ক্রসফায়ারের নামে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩২ নারী ও শিশু, সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের দ্বারা অপহরণ হয়েছে ২১৭ জন। উদ্বেগের বিষয় হলো বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ শতাধিক জেলে অপহরণ হলেও ২০ দিন পার হয়ে গেলেও উদ্ধারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ দৃষ্টিগোচর হয়নি। এছাড়াও রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতায় নিহত ৫০ এবং আহত হয়েছে ৯৫১ জন, আত্মহত্যা করেছে ৮ জন পুরুষ ও ২০ জন নারী, গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে ৬ জন, সন্ত্রাসীর হাতে নিহত ৮১ জন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা মনে করে মানুষের অমানবিক ও নিষ্ঠুর এই আচরলের পেছনে কাজ করছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে দেশে গণপিটুনি এবং ক্রসফায়ারে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কমিউনিকেশন ও ডকুমেন্টেশন অফিসার ফাতেমা ইয়াসমিন, নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার, অ্যাডভোকেট সালমা, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।