দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ নভেম্বর ২০১৫: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ব্লগার ও প্রকাশক দীপন হত্যায় আমি অত্যান্ত মর্মাহত। দুঃখ প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। ব্লগারদের ওপর হামলার ঘটনাকে চোরাগুপ্তা হামলা উল্ল্যেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব হামলার রহস্য উৎঘাটনে সময় লাগে। আমাদের এ সময় দিতে হবে। রোববার জেলা জজদের ট্রেনিং অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, কোন আদালতে বিচার হবে সেটা বড় বিষয় নয়, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।বিচার চাই না’ দীপনের বাবার এমন মন্তব্য আবেগপূর্ণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।এ ঘটনায় অভিজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে দুটি পৃথক ঘটনায় প্রায় একই সময়ে শনিবার চার ব্লগারের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিজিতের বইয়ের আরেক প্রকাশক শুদ্ধস্বর’র স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশিদ টুটুলসহ তিন ব্লগারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগের জনাকীর্ণ আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।ঘাতকরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে বাইরে থেকে অফিসটি বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরে কর্মচারী, মার্কেটের লোকজন ও তার বাবা দীপনকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এর আগে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ৮/১৩ লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশক ও ব্লগার আহমেদুর রশিদ টুটুল, লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা দুই রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। পরে দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে অফিসটি তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।