gias-mamun_481

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ নভেম্বর ২০১৫: ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করে রায় দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিল’ নিষ্পত্তি করে রোববার এ রায় দেয়। একইসঙ্গে মামলার পুনরায় আপিল শুনানির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।দুদকের পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট খুরশিদ আলম খান এ কথা জানান। তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০০৮ সালে বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের সাজা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দিয়ে রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে মামুন আপিল করলে ২০১২ সালে ৩০ জুলাই হাইকোর্ট তাকে খালাস দেয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।

ব্যবসায়ী মামুন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু হিসাবে পরিচিত। মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় সাত বছরের সাজা খাটছেন তিনি। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ২০১২ সালের ৩০ জুলাই হাই কোর্টের ওই রায়ে মামুনের সাবেক স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকেও খালাস দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আরেকটি লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে পরিচিত। মামুনের বড় ভাই সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি ৫০ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দেয় দুদক। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়। মামুন ছিলেন তাদেরই একজন।

ওই নোটিশের জবাবে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুন ও তার তখনকার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ৬৯ টাকা এবং শাহিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।ওইবছরের ২৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক।মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামুনকে ১০ বছর এবং তার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনকে ৩ বছরের দণ্ড দেয়।মামুন ও শাহিনা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালে তাদের খালাস দেয়।এরপর দুদক হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে মামুনের খালাসের সেই রায় বাতিল হয়ে গেল।