দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ অক্টোবর ২০১৫: ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মায়া বীরবিক্রম বলেন, বিএনপি জামায়াতের যে সকল নেতা পেট্রোলবোমা মেরে দেশের নিরীহ মানুষ হত্যার সাথে জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।তিনি শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।মায়া বলেন, বিএনপির শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত। তা না হলে তাদেরও বিএনপির অপকর্মের দায়ভার গ্রহণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি জামায়াতের আসল চরিত্র হলো মানুষ হত্যা করা। মানুষ হত্যা করা যেখানে মহাপাপ, সেখানে তারা মানুষ হত্যা করে উল্লাস করে।আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ২ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এ বর্ধিতসভার আয়োজন করা হয়।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিতসভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দীন মিয়া ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি বক্তব্য রাখেন।
সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের মতো হবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণ হয়েছে। বিএনপির আরো অনেক নেতা রয়েছেন যারা অচিরেই বিএনপি ত্যাগ করবে বলে শোনা যাচ্ছে।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভাঙ্গন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ অবস্থা থেকে বিএনপির ভাঙ্গন কেউ ঠেকাতে পারবে না।তিনি বলেন, বিএনপি ভাঙ্গনের মুল কারণ হলো দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে জঙ্গি কানেকশন। বিএনপির কিছু বিপথগামী নেতা-কর্মী জামায়াত ও জঙ্গিদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করে।কামরুল বলেন, বিএনপিতেও কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ রয়েছে যারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে জঙ্গি কানেকশন মেনে নিতে পারছেন না। এজন্যই বিএনপির ভাঙ্গন কেউ ঠেকাতে পারবে না।