দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হসিনার সাহসী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস৷ ২০০৭ এর এইদিনে তত্কালীন তত্বাবধায়ক সরকারের শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হসিনা৷ দেশেফিরে তিনি এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রমে নিজেকে নিয়জিত রেখেছেন অবিরাম৷ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার “বিশ্ব শানত্মির দর্শন জনগনের ক্ষমতায়ন, ধরিত্রী সেরা তুমি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা” বিশ্বসভায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অনন্য সাফল্যগাঁথা বিবরন ও সংবাদচিত্র নিয়ে “তোমার কীর্তি মোদের গর্ব ” শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান একথা বলেন৷বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম ভূখন্ড, একটি পতাকা – আর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জাতিকে দিয়েছেন আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, স্বনির্ভরতা, জনগণের অধিকার, জনগণকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বাংলাদেশ এবং বিশ্বসভায় মর্যাদার আসন ৷ সাঁইত্রিশটি আনত্মজর্াতিক সম্মাননা ও পুরষ্কার প্রাপ্তি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অকাট্য প্রমাণ৷
তিনি বলেন, তার সাহসী প্রত্যাবর্তনের কারনে আজ দেশে গনতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷ এবং দির্ঘ প্রায় ৪১ বছর পর ভারতের সাথে অমিমাংশিত সিমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে৷ ১৯৭৪ সালে ভারতের তত্কালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে সিমান্ত চুক্তি হয়েছিল , ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর সে চুক্তিটি আর আলোর মুখ দেখেনি৷ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হসিনার সাহসী পদক্ষেপ ও বিচক্ষন রাষ্ট্র পরিচালনার কারনেই জাতির দির্ঘ দিনের আকাঙ্খিত এই মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়ন হল৷ স্বাধীনতার সার্বোভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হসিনা আজও জামাত ও বিএনপি জঙ্গীবাদিদের বিরুদ্ধে বিরামহীন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন ৷প্রধান অতিথি বলেন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করেছিল আজ তারাই বাংলাদেশকে “ইমাজির্ং টাইগার” বলে আখ্যায়িত করছে৷ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকা-ে আজ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যাভাব দূর হয়েছে ৷ মানুষের চোখে মুখে আজ খুশির ঝিলিক, শানত্মির ছোঁয়া৷ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ এখন ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য নিম্নমধ্যম আয়ের দেশকে ছাড়িয়ে গেছে, তথ্যযোগাযোগ ও প্রযুক্তি ৰেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে৷
তিনি বলেন, তিনি বলেন, রাজনীতি হলো সমঝোতার শিল্প৷ আর সংগঠন মানে আন্দোলন৷ আন্দোলন – সংগঠন, সংগঠন – আন্দোলন বা কর্মসূচী৷ বিরোধী দলে থাকলে দাবী আদায়ের লৰ্যে রাজপথে মিছিল করতে হবে আর সরকারী দলে থাকলে কর্মসূচী৷ কর্মসূচী বা আন্দোলন ছাড়া সংগঠন একটি বিনোদনমূলক ক্লাবে পরিণত হয়৷ একে অপরের বিরম্নদ্ধাচারণ করা ছাড়া কাজ থাকে না ৷যুবলীগ শুধু মিছিল-মিটিং শ্লোগানে বিশ্বাস করে না, জ্ঞানচচর্ার মাধ্যমে একটি আলোকিত যুবসমাজ বিনির্মাণে যুবলীগ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ যুবলীগের প্রায় তিনশত প্রকাশনা রয়েছে ৷ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের আর কোনো দেশের কোনো যুবসংগঠনের এতো প্রকাশনা আছে কিনা আমার জানা নাই৷ এই প্রকাশনাগুলো ইতোমধ্যেই ঐতিহাসিক দলিল ও গবেষণার তথ্যসূত্রে পরিণত হয়েছে৷ একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শানত্মির দর্শন ” জনগণের ৰমতায়ন ” জাতিসংঘে সর্বসম্মতোভাবে গৃহীত হয়েছে৷ এটি যুবলীগের গবেষক দলের দীর্ঘদিনের গবেষণা কর্ম – যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ভাবনা, চিনত্মা-চেতনার ফসল৷ ইতোপূর্বে বিশ্বের আর কোনো নেতা বা রাষ্ট্রপ্রধানের কোনো দর্শন জাতিসংঘে গৃহীত হয়নি৷
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বিগত কয়েক বছর ধরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে ১৫ আগষ্ট, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা এবং বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের সংবাদচিত্র প্রদর্শন করে চলেছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় এবারে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিভিন্ন আনত্মর্জাতিক সম্মাননা অর্জনের সংবাদচিদত্র প্রদশনর্ীর আয়োজন করেছে৷ এর পূর্বে বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন শিল্পকলা একাডেমীতে এ ধরনের কর্মসূচীর আয়োজন করেনি৷ এইধরনের সংবাদচিত্র প্রদশনর্ীর মাধ্যমে যুবলীগ নতুন প্রজন্মের সামনে অনেক অজানা ঐতিহাসিক সত্য ও তথ্য প্রকাশের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে৷ যা আজ বাঙালীর অর্জন৷
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের তিনদিন ব্যাপী সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর প্রশংসা করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, একমাত্র যুবলীগ প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে যুবলীগ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থ, বই, পোষ্টার ইত্যাদি এবং শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ এর লেখা বই বিক্রি করে থাকে৷ বাংলা একাডেমী, একুশে বইমেলা, ঢাকা বইমেলা, কলকাতা বইমেলা, চট্টগ্রামের আউটার ষ্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা সহ বিভিন্ন বইমেলায় বুক ষ্টল বরাদ্দ নিয়ে যুবলীগ সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকে৷
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যুবলীগ মানে যুবক, যুবক মানে সৃষ্টিশীল৷ আমরা সৃষ্টিশীলতা, মেধা-মননের চচর্া করি৷ যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব মেধা ও মননের রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে দৰ ও আলোকিত যুবশক্তি তৈরী করতে প্রধান ভূমিকা পালন করছে৷ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকা-কে ত্বরান্বিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে দৰ ও আলোকিত যুবসমাজের কোনো বিকল্প নাই৷
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আহ্ববায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সৈয়দ মাহমুদুল হক, দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক জহরম্নল ইসলাম, চ্যানেল-৭১ এর বু্যরো চিফ মাঈনুদ্দিন দুলাল, চ্যানেল আই এর বু্যরো চিফ চৌধুরী ফরিদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কাজী আনিসুর রহমান, শহিদুল হক রাসেল, আবু জাফর, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন তসলিম, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, রবিউল আলম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, দেবাশীষ পাল দেবু, মনিরম্নল ইসলাম হাওলাদার, এস এম আতাহার জামাল, ঢাকা মহানগর উঃ যুবলীগ নেতা মারম্নফুল ইসলাম বিপস্নব এবং চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ৷