1446115774

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, দাবি আদায় করতে হলে শ্রমিকদের সমগ্র বিভাজিত ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে এক পস্নাটফর্মে আসতে হবে৷ এর কোন বিকল্প নেই৷তিনি বলেন, শ্রমিকদের বিভাজনের কারণে মালিকরা সুযোগ গ্রহন করেন৷ ট্রেডইউনিয়ন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়৷ ইউনিয়ন হচ্ছে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম৷ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কর্মজীবী নারী আয়োজিত ‘ট্রেড ইউনিয়ন /শ্রমিক সংগঠনকে কার্যকর করতে নারীর অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি করুন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার এমপি ৷এতে সভাপতিত্ব করেন কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক ব্বেী৷ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন কর্মজীবী নারীর আইন উপদেষ্টা তানজিনা সারা ইভা৷ বক্তব্য রাখেন হেনরিক মাইলার, শ্রমিক নেতা শহীদুলস্নাহ চৌধুরী, বিলসসের সৈয়দ সুলতান উদ্দিন ও শ্রমিক নেতা আবুল হুসাইন সহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ৷শাজাহান খান বলেন, আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার ছিল কিন্তু ইউনিয়ন করার সুযোগ ছিলনা৷ ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে সুযোগ করে দিয়েছেন৷

তিনি বলেন, খুব শিগ্গরই শ্রম আইন যুগোপযোগী করা হবে৷ সবচেয়ে বড় কথা আউট সোসিং শ্রমিকদের রক্ত চুষে খাচ্ছে৷নতুন শ্রম আইনে এই আউট সোসিং বন্ধ করতে হবে৷শাজাহান বলেন, আমরা শেস্নগান দিয়ে থাকি শ্রমিক ঐক্য জিন্দাবাদ শ্রমিকদের ঐক্য নয় শ্রমিকদের দাবী ও অধিকার আদায়ের শ্লোগান দিতে হবে৷ আমি মন্ত্রী হয়েও শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি ও আদায় দাবি করেছিলাম৷ ৫২টি সংগঠন সেদিন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম৷ তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছিলাম৷ সে দিন তিনি কোন দলের প্রতি কোন কটুক্তি করে বক্তব্য দেন নি৷ ট্রেড ইউনিয়নে এক সময় নারীদের অংশ গ্রহন ছিলনা৷ এখন কিছু কিছু নারী অংশগ্রহন করছেন৷ কারন গার্মেন্টেসে নারীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছ্৷ে শিরীন আখতার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীরা দুটি কাজ করেছে একটি হচ্ছে দেশ রক্ষা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে সম্বম রক্ষা৷ নারীরা তাদের অধিকার পায়না ৷ এ সংকট কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে৷