দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য বিদেশে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন নির্ধারিত সময়ের আগে কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না।তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ফেরারি পুত্র তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের ধোঁয়া তুলছেন। তারা বিদেশে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে। জনগণ বিএনপি-জামায়াতের যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং তার সুফল ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি মো. শাহ জালাল পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিলন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী লুৎফর রহমান ও বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মবু।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভিত্তিতে অনুষ্ঠানের সুফল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দলীয়ভিত্তিতে ¯’ানীয় সরকার নির্বাচন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কেননা, এ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা দলীয়ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময়ও দেখা যায়, গণমাধ্যম দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই ফলাফল তুলে ধরে।মায়া বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরাও দলীয় পরিচয়েই নির্বাচনী প্রচারণা চালান। অথচ নির্বাচনে জয়লাভের পরই তারা নির্দলীয় বলে পরিচয় দেন ।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো, আদালতে মামলা করে দীর্ঘদিন নির্বাচন বন্ধ রাখা। দলীয়ভিত্তিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এ সমস্যা থাকবে না। কেননা, সকল স্থানীয় নির্বাচন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আর সময়-সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে।মায়া বলেন, প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। আবার তারা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচন করতে পারবেন। আর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে তাদের কাজ করতে হবে। এতে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেমন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে, তেমনি সুশাসনও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।