enimg-202575-2011-08-04

দৈনিকবার্তা-সিলেট, ২৯ অক্টোবর ২০১৫: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি৷ বৃহস্পতিবার আদালতে সব আসামি উপস্থিত না থাকায় দ্রুত বিচার ট্রাইবু্যনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি৷ আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধাযর্্য করেছেন৷ গ বুধবারও পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি৷বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গউছসহ ৫ আসামিকে হাজির করা হয়৷সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, আবদুর রউফ ও এরফান আলীসহ তিনজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহন হয়নি৷ আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধাযর্্য করেছেন আদালত৷চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন৷

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল৷ কিন্তু ওইদিন বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন৷ ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান৷ গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী৷প্রসঙ্গত, টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়৷ মামলার সকল আসামি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হওয়ায় বিচারক মকবুল আহসান চার্জ গঠন করেন৷ মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্‍ফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক’র সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ৩২ জন৷

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া৷ হামলায়নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী৷ এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তত্‍কালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন৷