দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ অক্টোবর ২০১৫: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার প্রক্রিয়ায় কারও কোন ধরনের প্রভাব নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ডের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে এক ভোজসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিবিসিসিআই)প্রধান বিচারপতির সম্মানে এ ভোজসভার আয়োজন করে।বিবিসিসিআইয়ের ডাইরেক্টর জেনারেল মুহিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম এ হান্নান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দেয়া বিভিন্ন জনের বক্তব্যে বাংলাদেশে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা বিনিয়োগের জন্য বড় বাধা এমন বিষয়টি উঠে আসে। বক্তারা প্রবাসীদের সম্পত্তি দখল ও হয়রানিমূলক মামলার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির উদ্যোগ কামনা করেন।জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ ক্ষেত্রে লোকবল ও অবকাঠামোর সমস্যা রয়েছে।এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজে সাক্ষাৎ করেছেন জানিয়ে এস কে সিনহা বলেন, দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।বিচার প্রক্রিয়ার উন্নয়নে পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রহণে ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ বক্স খোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর আইনি যেকোনো বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন।
প্রধান বিচারপতি জানান, ১নভেম্বর থেকে উচ্চ আদালতের সব কার্যক্রমের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে। এতে মামলার শুনানির তারিখ ও এর ফলাফল নিয়ে অতীতের মতো আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো বিচারিক কার্যক্রমকে ডিজিটাল করে গড়ে তোলা হবে। তখন বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে মামলা করা, মামলার তথ্য জানা বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান ও প্রমাণ হাজির করা যাবে।প্রধান বিচারপতি বলেন, দুই বছরের মধ্যে সব মামলার জট সুরাহার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলাগুলো সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে সুরাহা করা হবে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এতে রাজি না হলে বিচারে হেরে যাওয়া পক্ষকে মামলার সমুদয় খরচ বহন করতে হবে।
