দৈনিকবার্তা-ঢাকা ২৭ অক্টোবর ২০১৫: ইতালীয় নাগরিক তাভেলা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যেদের বিষয়ে শিগগিরই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷ দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কথিত বড় ভাইসহ রাজনীতিবিদরা জড়িত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন৷এ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র্ত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনায় জড়িতরা নজরদারিতে রয়েছে৷এ ঘটনার সঙ্গে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যাকাণ্ডের কোনো যোগসূত্র আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান৷ তবে সব ঘটনার উদ্দেশ্যই দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷এছাড়া তাজিয়া মিছিলের ভিডিও ফুটেজ হাতে এসেছে আগামী দুই একদিনের মধ্যে তা খোলাশা করা হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করে বলেন, ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যাকাণ্ডে শুধু বড় ভাই আসল নয়, তার পেছনে যারা রয়েছেন তারা রাজনীতিবিদ৷ তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন৷ ইতোমধ্যে অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন৷ তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷ আর যারা দেশে রয়েছেন তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে৷ তথ্য প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করে দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে৷ যারা বিদেশে রয়েছেন তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হবে৷ তিনি আরও বলেন, দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের রহস্য দু-একদিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে৷ গোয়েন্দারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে৷ তা মিলিয়ে দেখার জন্য বিলম্ব হচ্ছে৷ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজানো হবে না৷সব কিছু গুছিয়ে আনা হয়েছে৷ বিদেশি হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র৷ আমাদের দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে চায় ষড়যন্ত্রকারীরা৷ দুই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা একই জায়গা থেকে হয়েছে, -যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুটি হত্যাকাণ্ড পৃথক লোকজন করলেও মোটিভ একই৷ জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো জনগণকে জানানো হবে৷রাজধানীর পুরান ঢাকায় হোসেনী দালানে শিয়া মতাবলম্বীদের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি৷ অচিরেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে৷বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিব্রতকর পরিস্থিতির আশঙ্কা থেকেই এ নিরাপত্তা জোরদার করেছি৷ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে৷ আমরা ইয়েলো বা রেড অ্যালার্ট জারি করিনি৷
