দৈনিকবার্তা- লক্ষ্মীপুর, ২২ অক্টোবর ২০১৫: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আবদুর রহিম ওরফে রইয়া ডাকাত (৩৮) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের আইয়ুব মিয়া বাড়ির দরজা নামক স্থানে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ডাকাতের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত রইয়া ডাকাত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘুলী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হেদায়েত উল্যাহ (ফজল মিয়ার) ছেলে। সে একটি ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভোর রাতে চরশাহী ইউনিয়নের আইয়ুব মিয়া বাড়ির দরজা নামক স্থানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আতœরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হঠলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রইয়া ডাকাতকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। এসময় মহসিন, ইব্রাহীম ও মাহবুব নামের তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, দুইটি রামদা ও দুইটি চোরাসহ রইয়া ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তবে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবদুল্লাহ আল মারযুফ জানান, হাসপাতালে আনার ৪০-৪৫ মিনিট পূর্বেই মারা যান আবদুর রহিম।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, আবদুর রহিম ওরফে রইয়া ডাকাত পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সে একটি ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ছিলো। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও চুরি-ছিনতাইসহ থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।