দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০১৫: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের চেতনা সমুন্নত রেখে জাতীয় উন্নয়নের জন্য সকলকে তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গোত্সবের বিজয়া দশমীতে বঙ্গভবনে হিন্দু সমপ্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন৷বাংলাদেশে কোনো উত্সব ও পার্বণ কখনো ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেনি মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্ম যার যার হলেও উত্সব সবার৷আবদুল হামিদ বলেন, দুর্গাপূজা কিংবা অন্যান্য পার্বণ বাংলার শাশ্বত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গভীর থেকে উত্সারিত, তাই এসব উত্সব কখনও ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেনি৷ধর্ম সমপ্রদায়ের, কিন্তু উত্সব সার্বজনীন৷ ঐক্যবোধ আর ধর্মনিরপেক্ষতা এ দেশের মানুষের ধর্ম৷
দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, সমাজে অন্যায়, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়৷আবহমান কাল ধরে এ দেশের হিন্দু সমপ্রদায় বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা ও উত্সবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে৷ এ উত্সব সার্বজনীন৷বাঙালি জাতি অসামপ্রদায়িক ও আলোকিত এক ঐতিহ্যের গর্বিত অংশীদার মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই ঐতিহ্য আমাদের মনে আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করে৷সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ৷আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং ধর্মের মূলবাণী আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ ও অসামপ্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উদ্বুদ্ধ করুক, বলেন তিনি৷
ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠ, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায় ও চিকিত্সক অরূপ রতন চৌধুরীও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৷ অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান৷