দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০১৫: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য আরো ২৫ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড বুধবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৩ বছর মেয়াদী এঙ্টেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে নেয়ার সুপারিশ করে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচির অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আইএমএফ অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
এর ফলে আইএমএফের এ বিশেষ ঋণ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ৯০ কোটি ডলারের বেশি পেল৷ এ ঋণ ৬ কিস্তিতে বাংলাদেশ পাবে৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য বর্ধিত ঋণ সুবিধার (ইসিএফ) শেষ দুই কিস্তি মিলিয়ে প্রায় ২৬ কোটি ডলার ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আইএমএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার ওয়াশিংটনে সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের সভায় তিন বছর মেয়াদী ইসিএফের আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচি পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তির বিষয়টি পর্যালোচনা শেষে ২৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়৷ এর মধ্য দিয়ে চুক্তি অনুযায়ী ইসিএফের মোট ৯০ কোটি ৪২ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ৷ ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড বাংলাদেশের জন্য তিনবছর মেয়াদী ইসিএফ অনুমোদন দেয়৷ এর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ অক্টোবর৷ সেই সময়ের আগেই সবকটি কিস্তি ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ৷
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আইএমএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে৷ আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিত্সুহিরো ফুরুসাওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, কার্যকর অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং কাঠামোগত সংস্কারের ফলে বর্ধিত ঋণ সুবিধার সহায়তায় গত সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে গেছে৷ এই সাফল্য ধরে রাখতে কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি ২০১৬ সালে নতুন মূল্য সংযোজন কর আইন চালু করা, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি আরও কমানো এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেন তিনি৷ সেইসঙ্গে ২০১৬ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সব ব্যাংকের সব শাখায় অটোমেশন চালুর কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আইএমএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে৷