দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ অক্টোবর ২০১৫: প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ কিভাবে খরচ করা হয় সে বিষয়ে একটি জরিপ করা হয়েছে৷ শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল৷বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেফগার্ডিং ইন্টারেস্ট অব বাংলাদেশ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইসু্য অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশন শীর্ষক ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷সিপিডি ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে৷ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির এঙ্িিকউটিভ ডাইরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান৷মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার৷ রেমিট্যান্স আয় আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে৷পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বৈদিশিক মুদ্রা অর্জনে অভিবাসী শ্রমিকের সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন৷ এ কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে এ মুদ্রার পরিমাণ৷ বর্তমানে ১১ দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষ বিদেশে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি৷
তিনি বলেন,রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের অনেক জটিলতায় পড়তে হয়৷ আর এ কারণে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে৷ যদি সেসব জটিলতার অবসান ঘটানো যায় তাহলে রেমিট্যান্স আহরণ আরো বাড়বে৷মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের প্রবাসীরা ইংরেজিতে অনেক দুর্বল৷ তাই রেমিট্যান্স বাড়াতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে৷ এ বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে৷ বর্তমানে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার৷ রেমিট্যান্স আয় আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে জানান তিনি৷পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে৷ এক্ষেত্রে চায়না উদাহরণ হিসেবে সবার কাছে স্বীকৃত৷ তাই আমাদের প্রতিটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে৷মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্বের শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে৷ ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে৷ যেখানে ১৯৯০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭ বিলিয়ন৷ ২০০০ সালে ছিল ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার৷ যা ২০০৫ সালে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার৷ এই রেমিটেন্স আহরণের পেছনে মূল অবদান রাখছে মাইগ্রেট ওয়ার্কাররা৷ সেই অবদানের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে৷ তাদেরকে সঠিক সুরক্ষা দিতে পারলেই রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ দিন দিন আরো বাড়বে৷ সিপিডি ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে৷ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির এঙ্িিকউটিভ ডাইরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান৷ সেমিনারে অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রিনিভাস বি রেড্ডি, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ শাখার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন৷
