দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ অক্টোবর ২০১৫: সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একটি উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ৷ তিনি বলছেন, কেরানীগঞ্জে জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য একটি বিশতলা হল এবং একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে৷ মঙ্গলবার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার চূড়ান্ত বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ মঙ্গলবার জবির দশম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷মন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানের শিক্ষা, বিশ্বমানের জ্ঞান, বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে একজন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়৷ ক্লাসে বসে লেকচার শুনে পরীক্ষায় পাস করলে জ্ঞান অর্জিত হবে না৷ জ্ঞান আবিষ্কার করতে হবে৷
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, অষ্টম বেতন কাঠামো তিনি মানেন না৷ শিক্ষকদের মর্যাদা সমতাকরণ না করা হলে তিনি রাস্তায় আগুন জ্বালাবেন৷ পাঁচ লাখ শিক্ষকের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে না৷শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, যতদিন শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হবে ততদিন তিনি সংগ্রাম করে যাবেন৷ শিক্ষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তিনি কমিটিতে শিক্ষকদের দাবি তুলে ধরবেন৷বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেই স্থান যেখানে জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়, জ্ঞান ধারণ করতে হয় এবং জ্ঞান বিতরণ করতে হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বৃদ্ধির জন্য আবেদন করলেও মঞ্জুরী কমিশনের কিছু করার নেই৷ মঞ্জুরী কমিশনেরই বেহাল দশা৷ জনবলের অভাব আর অফিস রুম সঙ্কটে জরাজীর্ণ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন৷
সভাপতির বক্তব্যে জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ভর করে গবেষণার মান এবং শিক্ষার্থীরা পাস করে কোথায় যায় তার উপর৷ জবি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে৷ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি৷ তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একশ গবেষক পিএইচডি এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য ভর্তি হয়েছেন৷