image_280931.atorni

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ অক্টোবর ২০১৫: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের সময় শেষ। তার পক্ষে সাফাই সাক্ষীর অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই।আদালত এ ধরনের আবেদন বিবেচনায় নিলে অরাজকাতা সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশি¬ষ্ট শাখায় (সাকা)চৌধুরীর পক্ষে রিভিউ শুনানিতে ৪ পাকিস্তানি নাগরিকসহ সাতজন সাফাই সাক্ষীর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান আল ফেসানী।এরপর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া জানান।

রিভিউ শুনানিতে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সাত সাক্ষীর মধ্যে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিয়া সুমরো, পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, ফিজিতে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিকের নাম রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও তার মা সাকার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদনে সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণের যে আবেদন জানানো হয়েছে, তা আমলে নেয়া হবে কি না সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলায় ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগ এই সম্পর্কিত সাক্ষীদের বক্তব্য বিচার-বিবেচনা করে সেটা গ্রহণ করেননি।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিভিউ আবেদনের জন্য নির্ধারিত সময় ১৫ দিন। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদেরের রিভিউ আবেদন ১৫ দিনের পরে করা হয়েছে। তার পক্ষে সাফাই সাক্ষীর অন্তর্ভুক্তির এখন সুযোগ নেই। আমি আদালতকে বলবো- তাদের সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন বিবেচনায় নিলে অরাজকতা সৃষ্টি হবে।

মাহবুবে বলেন, রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করার জন্য মঙ্গলবার তিনি আদালতে আবেদন জানাবেন।২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে (অভিযোগ নং- ৩, ৫, ৬ ও ৮) তাকে ওই শাস্তি দেয়া হয়। এছাড়া তিনটি (অভিযোগ নং- ২, ৪ ও ৭) অভিযোগে তাকে ২০ বছরের ও দুটি (অভিযোগ নং- ১৭ ও ১৮)অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকা চৌধুরী।আপিলেও মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে তার মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি একসঙ্গে আসে ট্রাইব্যুনালে। ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।এরপর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিন শেষ হওয়ার আগের দিন রিভিউ আবেদন করেন সাকা চৌধুরী। একই দিন রিভিউ করেন জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। রিভিউ খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করতে হবে সাকা চৌধুরীকে।