দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ ঢাকা ২০১৫: বর্তমান এবং ভবিষ্যত্ যখনই বাংলাদেশ চাইবে তখনই ভারত থেকে চাহিদামতো বিদু্যত্ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত্ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের যতটুকু বিদু্যত্ প্রয়োজন তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত৷ এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র হবে পরিবেশবান্ধব, পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু থাকবে না এ প্রকল্পে৷রোববার সকালে সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিদু্যত্ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দিপু ও ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ৷রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদু্যত্কেন্দ্রকে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক হিসেবে উল্লেখ করে পঙ্কজ শরণ বলেন, দুই দেশের মালিকানাভিত্তিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, দ্বিপাক্ষিক ভাল সম্পর্ক কীভাবে নিজেদের উন্নয়নে কাজ লাগে৷তিনি বলেন, বিদু্যত্কেন্দ্রটি বাংলাদেশের সকল আইন মেনে নির্মিত হচ্ছে৷ এর সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশগত বিষয়গুলো রয়েছে৷ তাই আমরা মনে করি, এই প্রকল্প বাংলাদেশের সকল পরিবেশগত বিধিনিষেধ মেনে নির্মাণ হতে যাচ্ছে৷
প্রতিমন্ত্রী বিপু বলেন, বাংলাদেশের চাহিদামতো বিদু্যত্ ভারত দিতে প্রস্তুত রয়েছে৷ এই তথ্যসহ আরও কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বর্তমান এবং ভবিষ্যত্ যখনই বাংলাদেশ চাইবে তখনই ভারত থেকে চাহিদামতো বিদুত্ পাওয়া যাবে৷তবে কী পরিমাণ বিদু্যত্ বাংলাদেশের লাগবে বা ভারতে দিতে প্রস্তুত তা গণমাধ্যমকে জানাননি প্রতিমন্ত্রী৷
রিজিওনাল পাওয়ার শেয়ারিং নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া এবং নেপালের মধ্যে (বিবিআইএন) পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুত্ আনা-নেওয়ার বিষয়েও তারা (ভারত) ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে৷চার দেশের সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকের সম্ভাব্য তারিখ চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী৷সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, সহযোগিতামূলক সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যুত্ আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷ আমরা ভেড়ামারা- ভেরামপুর দিয়ে এরই মধ্যে (৫০০ মেগাওয়াট) বিদু্যত্ আদান-প্রদান করছি৷ এই পথের বিদু্যতের পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার জন্য দুই দেশই সম্মত হয়েছে৷