দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ ঢাকা ২০১৫: রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর পত্র সরবরাহ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ । গ্রেফতার কৃতরা হল মোঃ খোকন মিয়া, মঞ্জুরুল আলম খান ও মোঃ রাকিবুল হক বিজয় । এ সময় তাদের হেফাজত হতে উত্তর পত্র সরবরাহ করার ৫ টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।উক্ত চক্রের সদস্যগণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যান্ত্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করে থাকে। তারা মূলত টার্গেট হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ইচ্ছকু ছাত্র ছাত্রীদের বেছে নেয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা এই কাজের সাথে জড়িত।
তাদের মধ্যে খোকন মিয়া ও রাকিবুল হক বিজয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাক্রমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিভাগের ছাত্র। মঞ্জুরুল ইসলাম ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রিপল ই বিভাগের ছাত্র। তাদের এই চক্রের সাথে ৩০-৪০ জন সদস্য জড়িত। তাদের পরিচালনাকারী সুভ এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্র ছাত্রীদের ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে উত্তর পত্র সরবরাহ করে থাকে। প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর সাথে ৩-৪ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। পরীক্ষার শুরু হওয়ার পূর্বে পলাতক আসামী শুভ তাদের এই ডিভাইস গুলো ধৃত আসামীদের নিকট সরবরাহ করে থাকে। তারা এই ডিভাইস গুলো তাদের নির্ধারিত ছাত্র ছাত্রীদের সরবরাহ করে ও ব্যবহার শিখিয়ে দেয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে উত্তর সরবরাহকারীরা মোবাইলের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের ডিভাইসে সংযোগ স্থাপন করে উত্তরপত্র সরবরাহ করতে থাকে।
এই ডিভাইস গুলোর মূল অংশটি ছাত্র ছাত্রীদের বুকের মধ্যে স্থাপন করে। একটি ছোট ইয়ার ফোন কানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় যা বাহির থেকে দৃশ্যমান হয় না। ছাত্র ছাত্রীরা প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রশ্নগুলো ডিভাইস সরবরাহকারীদের নিকট জানিয়ে দিলে পরীক্ষার হলের বাহিরে অবস্থানরত ধৃত আসামীরা উত্তর পত্র মোবাইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। ।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।ডিসি ডিবি (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ এর নির্দেশনায়, এডিসি রাজীব আল মাসুদ এর তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।