দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ১৮ ঢাকা ২০১৫: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মুনুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ বিস্তারে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার সকালে হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের সহয়তায় এগ্রিকালচারাল এডভাইজরী সোসাইটি (আস) এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আস এর নির্বাহী পরিচালক হারুন-আর-রশীদ, কৃষি অফিসার সুধির কুমার ও মনিকুমার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আস এর এসি সাইফুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধের জন্য জিংক একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বাংলাদেশের মানুষের শরীরে জিংকের তীব্র অভাব পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে দেশে ৪৪% শিশু এবং ৫৭% অপ্রসৃতি ও কুমারী জিংকের ঘাটতিতে ভূগছেন। বাঙ্গালির ভাত হল প্রধান খাদ্য যা মোট ক্যালরীর চাহিদার প্রায় ৭০% পূরণ করে। কিšুÍ ভাত থেকে প্রাপ্ত পুষ্ঠি উপাদানের মধ্যে জিংক এর যথেষ্ঠ ঘাটতি রয়েছে। খাদ্য হিসাবে গ্রহণকৃত ভাতে জিংক এর ঘাটতির বিষয়টি উপলোদ্ধি করে বাংলাদেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষকগণ নিরলস ভাবে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাঙ্গালির প্রধান খাদ্য ভাতের মধ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ জাতটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি)। জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক জাতটি বানিজ্যিক ভাবে রোপা আমন মৌসুমে চাষাবাদ এর জন্য ২০১৩ সালে অনুমোদন দিয়েছে। এই জাতটির প্রতি কেজি চালে ১৯.৬ মিলিগ্রাম জিংক এবং শতকরা ৯ ভাগ প্রোটিন থাকে। জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ এর ফলন আশানুরূপ হওয়াই দেশের বিভিন্ন এলাকাতে স্বল্প সময় বিস্তার লাভ করবে। দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে জিংক সমৃদ্ধ ধান বিস্তারে বিভিন্ন সম্প্রসারণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে দেশের কৃষক সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান বক্তারা।অনুষ্ঠানে এলাকার ৮৫০ জন কৃষক-কৃষানীগণ উপস্থিত ছিলেন।