দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ ঢাকা ২০১৫: সরকারের অবস্থা সঙ্কটজনক মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সরকারকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে সরকার টেলিভিশনে যতোই হাসিমুখে কথা বলুক না কনো তা বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস করে ফেলেছে। তাই সবাইকে এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক বাংলাদেশ অগ্নিসেনা সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, শুধু সভা সেমিনারে এবং কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে লাভ নেই। ২০ দলীয় জোট এবং জোটের বাইরে যেসব দল রয়েছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশের বিগত পাঁচ বছরে যেসব ব্যক্তি কোটিপতি হয়েছেন তাদের নাম প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে যারা শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। আর এই টাকা ওইসব ব্যক্তির কাছে কীভাবে এলো তারও হিসাব আপনাদেরকেই দিতে হবে।এ আলোচনা সভায় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সুইচ ব্যাংকে যে বাংলাদেশিদের টাকা রয়েছে তার হিসাব বিএনপি সরকারের কাছে চেয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছিলেন- সুইচ ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তাদের টাকার হিসাব নেয়া হবে। কিন্তু আজ পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও তার হিসাব প্রধানমন্ত্রী এখনো দেননি।
দলমত নির্বিশেষে দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, অগোছালোভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে কোনো লাভ হবে না। তাই ২০ দলীয় জোটের বাইয়ে যেসব দল রয়েছে তাদেরকে দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের সব রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মাহবুব বলেন, যাদের যে ইস্যু রয়েছে সেই ইস্যুতেই আপনারা রাজপথে নামুন। যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই মাঠে নামুন। কারণ শুধু কথা বললে সরকার বিদায় হবে না। তাই এই অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করতে হবে।তিনি বলেন, সরকারের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাই সরকারকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে সরকার টেলিভিশনে যতোই হাসিমুখে কথা বলুক না কনো তা বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই। কারণ সরকার ইতিমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস করে ফেলেছে।বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আইন না করেই গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কঠিন অবস্থাতেই গণমাধ্যমগুলোকে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
এর আগে সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ অগ্নিসেনা সংসদের তিন সদস্যকে ক্রেস্ট প্রদান করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর ঐক্যবদ্ধ হয়েই সরকারের বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলনে যেতে হবে। এক্ষেত্রে যার যে কর্মসূচি রয়েছে সেই কর্মসূচি নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এখন দফা একটি, আর সেটা হলো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা।আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান তালুকদার জহিরুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।