দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ ঢাকা ২০১৫: মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুয়ায়ী দেশের ১০ লাখ শিশু সবকিছু থেকে বঞ্চিত৷ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে (অশিক্ষা, অপুস্টি, ঝুঁকিপূর্ণ ম্রম, ও নির্যাতন) এ সংখ্যা ৪৩ লাখ হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি৷শনিবার দুপুরে এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে নীতি-নির্ধারক এবং শিশুদের অংশগ্রহণে ‘বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক উন্মুক্ত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷নীতিনির্ধারক ও সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিশুদের অংশগ্রহণে যৌথভাবে এ উন্মুক্ত সংলাপের আয়োজন করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, উন্নয়ন সেবা সংগঠন,ইন্টারনেশনাল চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, ইসলামিক রিলিফ ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি৷এ সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি৷ অতিথি আলোচক ছিলেন আইন ও শালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়৷
মেহের আফরোজ চুমকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, কোনো শিশু রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে না এবং না খেয়ে মরবে না; এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে৷বর্তমান সরকার শিশুদের সোনার দেশ দেয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ মন্তব্য করে চুমকি বলেন, আমাদের দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে এবং এসডিজির লক্ষ্যগুলো আর্জন করতে হলে শিশুর প্রতি কোনো বৈষম্য রাখা যাবে না৷
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে৷ কোনভাবেই তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷তিনি শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গুম, অপহরণ ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি সম্পর্কে গণমাধ্যমে সূত্রে জানামাত্রই আমরা তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছি৷ এসব রোধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর৷ তবে এটা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদেরও আছে৷আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, আমরা এখনো শিশুর অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নই৷ শিশুদের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ন্যায় মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে সরকারেরও৷ তাই সবার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সরকারকে যথাযথভাবে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে৷
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় পিপিএম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে৷ তথাপি শিশু নির্যাতনবিষয়ক মামলাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ যদি এর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের লোকও জড়িত থাকে তাহলেও ছাড় দেয়া হবে না৷ অপরাধী যে প্রতিষ্ঠানেরই হোক না কেন বা জনপ্রতিনিধিই হোক না কেন তার পরিচয় সে অপরাধী৷ শিশু নির্যাতন রোধে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা জেন্ডার ও শিশু অধিকারবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি৷ আমরা নারী ও শিশুবান্ধব ডেস্কও খুলেছি৷ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় উন্মুক্ত এ সংলাপটিতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি৷