দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ ঢাকা ২০১৫: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি সত্যিকারের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে৷ সে গণতন্ত্র অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন চলবে৷শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম এ কথা বলেন৷ বিএনপির প্রয়াতনেতা আফসার আহমদ সিদ্দিকীর মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়৷৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এখন যে গণতন্ত্র চলছে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷ আওয়ামী লীগ নিজেদের দলে গোপন ভোট নিলে এই গণতন্ত্রের বিপক্ষেই বেশি ভোট পড়বে৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে দাবি করে তিনি এই সংকট উত্তরণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান৷
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে৷ এই সংকট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই৷নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয় পদ্ধতিতে নির্বাচনের নামে ৫ জানুয়ানি একটি ভাগবাটোয়ার নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ৷ দেশের জনগণ সে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি৷তিনি বলেন,এ জন্য আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করছি৷বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, বিএনপি সত্যিকারের গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে৷ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন৷
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করেছে৷ আমরা তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আইন পাস করেছি৷ কিন্তু ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ যখন দেখলো তাদের সঙ্গে জনগণ নেই, তখন থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে৷নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা সব সময়ে ক্ষমতাকেই বড় করে দেখেছে৷ স্বাধীনতার তিন বছরের মাথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল৷তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ ও রাষ্ট্রের জন্য যা করা প্রয়োজন তা করেনি৷ এবার ক্ষমতায় এসে জনগণের রায় না নিয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে৷এ সরকার জাসদের মতো সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারীদের পাশে বসিয়ে সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা৷সংগঠনের আহ্বায়ক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷