দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ অক্টোবর ২০১৫: নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজহান খান বলেছেন, নৌপথে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন খরচ অন্যান্য খাতের চেয়ে কম এবং পরিবেশ বান্ধব। সে জন্য নৌ পথের নাব্যতা রক্ষায় খনন কার্যক্রমে দেশ লাভবান হবে। এ জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম নৌপথের নাব্যতার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরী।
তিনি বলেন, প্রায় ৮০ ভাগ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল এ কড়িডোরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটকে সবোর্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ঢাকা-চট্টগ্রাম কড়িডোর এর ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা-চট্টগ্রাম কড়িডোরের অভ্যন্তরীণ নৌযোগাযোগ সুবিধা উন্নয়ন সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ব্যাংকের ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আই ডব্লিউ এম) এ কর্মশালার আয়োজন করে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আই ডব্লিউ এম’এর নির্বাহী পরিচালক ড. এম মনোয়ার হোসেন ।বিআইডব্লিউটিএ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট বিশেষজ্ঞ দিয়েপ নগুয়ান ভ্যান হাউতি।মন্ত্রী বলেন, নৌপথের নাব্যতা বজায় ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নৌপথ খননের লক্ষ্যে সরকারের গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারের এ মেয়াদে ২০৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।