দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০১৫: শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভের দুই পায়ে গুলির ঘটনার মামলায় গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের আগাম জামিন খারিজ করে দিয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশনার আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ৷মঙ্গলবার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই আবেদন করেন৷ দুপুরে আবেদনের ওপর শুনানির কথা থাকলেও আদালত সূত্র জানায় এ বিষয়ে বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ৷অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালতে এই আবেদন উপস্থাপন করার পর লিটনের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন৷
পরে আদালত শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করে দেয় বলে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান৷লিটনকে গ্রেপ্তারের আইনি সুযোগ নিয়ে অস্পষ্টতা কাটাতে এই আবেদন যে করা হবে, অ্যার্টনি জেনারেল সোমবারই তা জানিয়েছিলেন৷ গত ২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য লিটনের ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে নয় বছর বয়সী এক শিশু আহত হয় বলে পরিবারের অভিযোগ৷আহত সৌরভের বাবা সাজু মিয়া ঘটনার পরদিন সাংসদ লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ এছাড়া ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন হাফিজার রহমান নামে সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের এক বাসিন্দা৷গুলির ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন লিটন৷ এর মধ্যেই লিটনের আগাম জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা৷ সোমবার ওই আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়৷ সেইসঙ্গে সাংসদ লিটনকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারকি হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ওই আদেশের পর সাংসদ লিটনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম দাবি করেন, আদালত যেহেতু আত্মসমর্পণের তারিখ ঠিক করে দিয়েছে, সেহেতু ১৮ অক্টোবরের আগে লিটনকে গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই৷ কেননা গ্রেপ্তার করা হলে তিনি হাই কোটের্র নির্দেশনা অনুসারে নিম্ন আদালতে যেতে পারবেন না৷ উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নির্ধারিত সময়ে নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পণ করবেন, বলেন তিনি৷অন্যদিকে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, লিটনের জামিন আবেদন নাকচ হলেও আদালতের নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷আদালত বলল, ১৮ তারিখের ভেতর আত্মসমর্পণ করতে৷ পুলিশের প্রতি নির্দেশনা নেই গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে৷ তবুও পুলিশ প্রশাসন দ্বিধাগ্রস্ত থাকবে- এজন্যই আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব৷