দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ১২ অক্টোবর ২০১৫: চট্টগ্রামে ফের মুখোমুখি যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া গুলি ছুঁড়ে থামিয়েছে পুলিশ। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবি এলাকায় সোমবার দুপুরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।দুই বছর আগে দরপত্র নিয়ে এ দুই নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছিলেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, বাবরের অনুসারীরা দুপুরে সিআরবি সাতরাস্তা মোড়ের গোয়ালপাড়া সংলগ্ন অংশে জড়ো হয়। এসময় আটমাসিং সড়ক ধরে লিমনের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকে।দুই পক্ষের হাতেই লাঠিসোঁটা ছিল। এক পর্যায়ের তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে আমরা মাঝখানে অবস্থান নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করি।কোনো পক্ষ গুলি ছুড়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি জসিম বলেন, এক পক্ষ থেকে মনে হয় এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত নই। তবে আমরা চার রাউন্ড গুলি ছুড়েছি।এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের বিরোধে’ দুই পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ সম্পাদক এবং সাইফুল ইসলাম লিমন ছাত্রলীগের গত কমিটির বহিষ্কৃত সহ-সম্পাদক।২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবিতে ৪৮ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বাবর ও লিমনের অনুসারীরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। সে সময় গুলিতে নিহত হন যুবলীগকর্মী সাজু পালিত ও আট বছর বয়সী শিশু আরমান হোসেন টুটুল।ওই ঘটনায় বাবর, লিমনহ দুই পক্ষের ৮৭ জনকে আসামি করে মামলাও হয়। সেই সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল, আশপাশের এলাকা এবং ঢাকায় অভিযান চালিয়ে বাবর, লিমনসহ মোট ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করলেও কয়েক মাসের মধ্যে সবাই জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।