দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ অক্টোবর ২০১৫: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল৷
সোমবার বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য শুরুর জন্য ৪ নভেম্বর দিন ঠিক করে দেয়৷এই পাঁচ আসামি হলেন- শামসুদ্দিন আহমেদ, গাজী মো. আব্দুল মান্নান, নাসির উদ্দিন আহমেদ ওরফে ক্যাপ্টেন এটিএম নাসির, মো. হাফিজ উদ্দিন ও মো. আজহারুল ইসলাম৷প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন জানান, আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার শামসুদ্দিন আহমেদ অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ বাকিরা শুরু থেকেই পলাতক৷
প্রসিকিউশনের পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে ছিলেন জেয়াদ আল-মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন৷অন্যদিকে আসামি শামসুদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান৷গত ১০ মে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন৷ এরপর ১৩ মে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইবু্যনাল৷অভিযোগ ১: ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর ও আয়লা গ্রামের মোট আট জনকে হত্যা ও একজনকে আহত করা৷অভিযোগ ২: ১৩ নভেম্বর আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনকে হত্যা৷অভিযোগ ৩: একই উপজেলার মো. আব্দুল গফুরকে অপহরণ করে ২৬ সেপ্টেম্বর খুদির জঙ্গল ব্রিজে নিয়ে হত্যা৷
অভিযোগ ৪: ২৩ অগাস্ট করিমগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলোতে শান্তি কমিটির কার্যালয়ে আতকাপাড়া গ্রামে মো. ফজলুর রহমান মাস্টারকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যা৷অভিযোগ ৫: ৭ সেপ্টেম্বর রামনগর গ্রামের পরেশ চন্দ্র সরকারকে হত্যা৷অভিযোগ ৬: ২৫ অগাস্ট পূর্ব নবাইদ কালিপুর গ্রামে আবু বক্কর সিদ্দিক ও রূপালীকে অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যা৷অভিযোগ ৭: ১৫ সেপ্টেম্বর আতকাপাড়া গ্রামে আক্রমণ করে ২০-২৫টি বাড়িতে অগি্নসংযোগ৷
