দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০১৫: বিদেশি হত্যা করে দেশের পরিস্থিতি অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে৷ আর বিএনপি-জামায়াত জোটের দিকেই এ ষড়যন্ত্রের তীর দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম৷ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ ও চলমান রাজনীতি শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট৷
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্জন যখন বাড়ছে, তখনই বিদেশি নাগরিক হত্যাসহ নানা ষড়যন্ত্র চলছে৷ দুই যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকরের আগে বিদেশি নাগরিক হত্যা করে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা চলছে৷
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এজন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের দিকেই ষড়যন্ত্রের তীর দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন৷কামরুল ইসলাম বলেন,এরা(জামায়াত-বিএনপি) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে রাজাকারের তালিকা গায়েব করে দিয়েছে, যারা যুদ্ধের সময় ভাতা পেতো৷ এখন তাদের দুই শীর্ষ পযায়ের নেতা মৃতু্যদণ্ডের মুখে রয়েছেন৷ আশা করছি, তাদের এ রায় কার্যকর হতে যাচ্ছে৷ কামরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে রাজাকারের তালিকা গায়েব করে দিয়েছে৷ যারা যুদ্ধের সময় ভাতা পেতেন, এখন তাদের দুই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মৃত্যুদণ্ডের মুখে রয়েছেন৷ আশা করছি, তাদের এ রায় কার্যকর হতে যাচ্ছে৷ শেখ হাসিনার সামপ্রতিক অর্জন তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিকে শেখ হাসিনা উন্নয়নের ছোঁয়ায় নিয়ে এসেছেন৷ বিশ্ব দাতারা পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার পরও হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে৷ শেখ হাসিনা ক্রমান্বয়ে বিশ্বনেত্রী হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিচ্ছেন ও দেশকে তিনি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷
তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পঁচাত্তরের আগে জাতির জনক যখন বিশ্ব দরবারে নানা অর্জন করছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়৷ এরপর আমরা হারাই জাতির পিতাকে৷ এখন প্রধানমন্ত্রী যেভাবে একের পর এক পুরস্কার অর্জন করছেন, তাতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি৷ প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে৷ জীবন দিয়ে হলেও প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে রক্ষা করতে হবে৷সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া৷ এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাবেক পরিচালক ফাঙ্গুনী হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা সুজীত রায় নন্দী প্রমুখ৷