2015_10_11_17_15_46_DZQZpkX5zREhIt8Hq5Q2pyXEHwf0JX_original

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০১৫: গণপরিবহণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে যে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ আবুল মকসুদ৷ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপকমিটির’ উদ্যোগে ২৫০ ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীর অভিযোগ গ্রহণের এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়৷ নৈরাজ্যকর ভাড়া পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী যাত্রীদের মতামত গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানীর ফার্মগেটে সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে গণশুনানিকালে তিনি এ মন্তব্য করেন৷

তিনি বলেন, গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সব মহলের মতামত উপেক্ষা করে সরকার কোনো প্রকার গণশুনানি না করে একতরফা বিদ্যুত্‍ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করায় জনগণের কাঁধে বর্ধিত ভাড়ার জগত্‍দল পাথর চেপে বসেছে৷ ইতোমধ্যে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অবৈধ আবদার রক্ষায় বিআরটিএ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরসহ আশপাশের জেলায় চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের ভাড়া যাত্রী প্রতি কিলোমিটারে ১০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে৷আবুল মকসুদ যুক্তি দিয়ে বলেন, যদিও দেশের যাত্রীদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সরকার নিবন্ধিত একমাত্র জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির শুরু থেকেই মালিক সমিতির ভূয়া তত্ত্ব-উপাত্তের মনগড়া ব্যয় বিশ্লেষণের প্রতিবাদ করে আসছিল৷ অথচ সব দাবি এবং প্রতিবাদ উপেক্ষা করে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় কিলোমিটার প্রতি ১০ পয়সা ভাড়া বৃদ্ধি করার সুবাদে মালিক সমিতি চিরাচরিত কায়দায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নির্ধারণ করে রীতিমত জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করে যাচ্ছে৷এ ব্যাপারে দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিঙ্ মিডিয়ার প্রতিবেদনে ভাড়া নৈরাজ্যের প্রকৃৃত চিত্র প্রকাশের পরও সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙছে না বলে মন্তব্য করেন আবুল মকসুদ৷

তিনি আরো বলেন,প্রতিদিনই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী যানবাহনগুলোতে পরিবহণ শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীর তর্ক-বিতর্ক এমনকি হাতাহাতি, মারামারির ঘটনাও ঘটছে৷ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও যাত্রী কল্যাণ সমিতির কাছে দেশের যাত্রী সাধারণ নানাভাবে এ নৈরাজ্যের অভিযোগ জানাচ্ছে৷এছাড়া,আবুল মকসুদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে গণশুনানি গ্রহণ করেন, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী, গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির৷এসময়, অন্যদের মধ্যে যাত্রী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শরীফ রফিকুজ্জামান,কেন্দ্রীয় নেতা আজহাররুল আলম জিকু, হাবিব রহমান, মোমেনা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷