BNP-pic-khaleda

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ অক্টোবর ২০১৫: বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছেন তরুণরা দল পুনর্গঠনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ লন্ডনে বসেই করছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে জাপানি ও ইতালির দুই বিদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।লন্ডনে থেকেই প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন দলের নেতাদের। দুই সপ্তাহের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন লন্ডন গেলেও দেশে ফিরতে তার আরো কিছুটা সময় লাগবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, চোখের চিকিৎসা ও দলের পুনর্গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। এখনো দেশে ফিরে আসার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্যে এই মুহূর্তে লন্ডনে অবস্থান করছেন। আর দলে চলছে পুনর্গঠন কার্যক্রম। খালেদা জিয়া ঠিক কবে দেশে ফিরবেন এ ব্যাপারে কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে না পারলেও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন চিকিৎসা শেষে তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, বেগম জিয়া দেশে ফিরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন। এ প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছেন নেতাকর্মীরা।জানা গেছে, খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দলের কর্মকৌশল নিয়েও আলোচনা করছেন। বেশকিছু বিষয়ে তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বাইরের দলগুলোকে নিজেদের জোটে ভেড়ানোর চেষ্টাও করছে তারা। লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এ নিয়ে খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বাইরে থাকা দলগুলোকে জোটবদ্ধ করার চেষ্টা করবে বিএনপি। এছাড়ও খালেদা জিয়া সম্প্রতি তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা দেশপ্রেমিক রয়েছে তার দল ক্ষমতায় গেলে তিনি তাদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।সরকারবিরোধী দলগুলোর এ জোট জাতীয় নির্বাচনের দাবিকে আরো জোরলো করবে বলে দলটির নেতারা মনে করছেন।বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ম্যাডাম কবে ফিরবেন সেটা জানা নেই।

তবে এ উদ্যোগে নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে পিছপা হবে না, বড় একটা প্লাটফর্ম হবে। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে।বিএনপি আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, দেশে-বিদেশে নিজেদের দাবির পক্ষে জনমত গঠনে বিএনপির তৎপরতা আরো জোরদার করা হবে।’ জানা গেছে, ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া দল পুনর্গঠনের বিষয়ে খসড়া তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দেশে ফিরেই পুনর্গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন তার বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করেই আগামী দিনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তরুণদের প্রাধান্য দিয়েই নতুন নির্বাচন করা হচ্ছে। নতুন তরুণ নেতৃত্ব আগামীতে বিএনপির নীতি-নির্ধারণসহ দাফতরিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। দলের মূল চালিকাশক্তি হিসেবেই তারাই ভূমিকা পালন করবেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ৯টি পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে চলতি বছরেই। এর মধ্যে দলের সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের শূন্যপদটি পূরণ ছাড়াও আরো ৮টি পদে রদবদলের চিন্তাভাবনা চলছে। বয়সের ভারে ন্যূব্জ ও শারীরিক অক্ষমতার জন্য ৫ সদস্যের সরে যাওয়ার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। তাছাড়া নিষ্ক্রিয়তা, অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আরো তিনজনকে সরিয়ে দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল বিলুপ্ত করে স্থায়ী কমিটির সমমর্যাদায় নতুন করে দলের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনেরও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে সদস্য থাকবেন সর্বোচ্চ ৩০ জন। চলতি বছর তথা আগামী দুই মাসের মধ্যেই এসব পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে।একটি সূত্র জানায়, দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সোমবার রাতে গুলশানের একটি ভবনে দলের নীতি-নির্ধারণী মহলের বেশ কয়েক সদস্য এ ব্যাপারে অনানুষ্ঠানিকভাবে তিন ঘণ্টার একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও মিলিত হন। সূত্র জানায়, দলের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে ৩৮৬ সদস্যের সাজানো গোছানো নির্বাহী কমিটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কাউন্সিলের এই ঝড়ে বড় বড় নেতাও ছিটকে পড়তে পারেন। আবার ত্যাগী, যোগ্য, দক্ষ ও দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসা ছোট পদের নেতারাও আসতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ পদে।

ইতিমধ্যে বিএনপির পুনর্গঠনের জন্য নেতাদের সম্ভাব্য একটি নামের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। এম. শামছুল ইসলাম অসুস্থতা, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হওয়ার কারণে বাদ পড়তে পারেন। এছাড়াও নিষ্ক্রিয়তা, নানা অনিয়ম, দলের ভেতরে গ্র“পিং তৈরি করা, সরকারের সঙ্গে আঁতাতসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আরো তিন সদস্য রয়েছেন বাদ পড়ার তালিকায়। স্থায়ী কমিটির এসব পদে স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, (এলডিপি বিলুপ্ত করে সদলবলে বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর) কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোর্শেদ খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তবে স্থায়ী কমিটি থেকে যারা সরে যাবেন তাদের একই সমমর্যাদায় গঠিতব্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হবে।

একইসঙ্গে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলও বাতিল করা হতে পারে। আর এই উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান করা হতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে। তার নেতৃত্বে এই পরিষদের সম্ভাব্য অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি টিএইচ খান, ড. আরএ গনি, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ড. আসিফ নজরুল, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, শামছুজ্জামান দুদু, ড. তুহিন মালিক, আহমেদ আজম খান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, মুশফিকুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, মীর মো. নাসির, হারুনুর রশিদ খান মুন্নু, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, সাবেক শিক্ষা সচিব খন্দকার শহীদুল আলম প্রমুখ। এমাজউদ্দিন আহমদ প্রধান না হলে বর্তমান স্থায়ী কমিটির এক প্রবীণ সদস্যকেও আহ্বায়ক করা হতে পারে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে মহাসচিব পদের ঝুলন্ত বিষয়টিও এবার দেশে ফিরে নিষ্পত্তি করবেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্মমহাসচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদক পদে যারা আসতে পারেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, বরকতউল্লাহ বুলু, মিজানুর রহমান মিনু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গোলাম আকবর খন্দকার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আহসান হাবিব দুলু, নাজিমউদ্দিন আলম, এহসানুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবুল খায়ের ভূইয়া, অধ্যাপক এমএ মান্নান, এমরান সালেহ প্রিন্স, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, তাবিথ আউয়াল, নাদিম মোস্তফা, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহমিনা রুশদীর লুনা, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার রানু, নীলুফার চৌধুরী মনি, সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া, শাম্মী আক্তার, ব্যারিস্টার রুহিন আফরিন আহাদ, শ্যামা ওবায়েদ, সাইফুল আলম নীরব, আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।ৎ

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, দলীয় চেয়ারপার্সন এবার দেশে ফেরার পর দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি গবেষণা সেল খোলা হবে। যা দলের ‘থিংক-ট্যাংক’ এর কাজ করবে। এই সেলে দলীয় ঘরানা এবং তার বাইরের সম্ভাব্য বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা কাজ করবেন। জানা গেছে, দেশে ফিরে খালেদা জিয়া দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় বিএনপি এবং গুলশানে চেয়ারপার্সন কার্যালয়ের স্ট্রাকচারেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান জানান, খুব শিগগিরই বিএনপি পুনর্গঠনের কাজ করে নির্বাচন আদায়ের দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলন শুরু করবে এবং সরকার জনগণের আন্দোলনের মুখে নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেও তিনি দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। একইসঙ্গে দল পুনর্গঠনের কাজও করছেন। বিএনপি পুনর্গঠনের মাধ্যমে শক্তিশালী হয়ে জনগণের দাবি আদায় করবে। এদিকে, আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার এক বছরেও তা পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি ছাত্রদল। আংশিক যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, গত এক বছরে তারা কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর কমিটিগুলো বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুমোদনের অপেক্ষায় গুলশান কার্যালয়ে পড়ে আছে।

অবশ্য ছাত্রদলের নেতারা বলছেন, অস্বাভাবিক পরিবেশের’ কারণে কমিটিগুলো গঠন করা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার কমিটি চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর এসব কমিটি ঘোষণা করা হবে।দল গোছানোর অংশ হিসেবে গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আংশিক ওই কমিটি ১৫০ সদস্যের। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রদলের কমিটি ১৫১ সদস্যের। কিন্তু এবার কমিটি ঘোষণার সময় বলা হয়, ২০১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার পরপরই কমিটিতে জায়গা না পাওয়া নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ বিদ্রোহ করে। তারা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও বর্তমান কমিটির সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায়। পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সে সময় ‘বিদ্রোহীদের ছাত্রদলের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংগঠনটির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি। ছাত্রদলের সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কমিটি এখনই পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে না। ছাত্রদলের যাঁরা বিদ্রোহ করেছিলেন, তাঁদের অনেকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের চেয়ে বয়সে বড়। তাঁদের ছাত্রদলের কমিটিতে রাখার সম্ভাবনা কম। তাঁদের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ দেওয়া হতে পারে। এ কারণে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনের পর ছাত্রদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পক্ষে সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এখনই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে গেলে আবার সংগঠনের ভিতরে বিক্ষোভ দেখা দেবে।

২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গত বছর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হলেও অন্য শাখাগুলোতে কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এখন এসব শাখায় কমিটি নেই।