দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ অক্টোবর ২০১৫: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্য হয় না।জাতীয় ঐক্য গড়তে হলে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে আসতে হবে।শুক্রবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জঙ্গি ও উগ্রবাদ রুখতে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। ঠিক এমন সময় বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের হত্যা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ‘উত্তরে আমরা বলব, বিদেশিরা নিরাপদ আছেন।
আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছি। আর এ হত্যাকাণ্ড পেশাদার খুনির কাজ। খুনিরা রাজনৈতিক মদদ পেয়ে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খুনিদের খুঁজে বের করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের বের করবই। আপনারা যে সতর্কতা জারি করেছেন, তা প্রত্যাহার করুন।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য বাংলাদেশকে বিপজ্জনক রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা চলছে। বিদেশি হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক মদদপুষ্ট পেশাদার খুনিদের কাজ বলেও মনে করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা নিরাপদ আছেন। আমরা তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছি। বিদেশী হত্যাকাণ্ড পেশাদার খুনির কাজ। খুনিরা রাজনৈতিক মদদ পেয়ে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খুনিদের আইনের আওতায আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। খুনিরা ধলা পড়তেই।
মির্জা ফখরুল ইসলামের জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের প্রসঙ্গ টেনে পৃথক আরেকটি অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই। ঐক্য হওয়া উচিত। আমরাও এটা বিশ্বাস করি। আর সেই ঐক্যও কিন্তু হয়েছে। কিন্তু যারা জঙ্গিবাদের দোসর, অর্থের জোগানদাতা, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তাদের নিয়ে কোনো অবস্থাতেই জাতীয় ঐক্য হতে পারে না।কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে প্রত্যেক পেশার মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। শুধু জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকেরা ছাড়া, গণতন্ত্র ও শান্তির আলখেল্লাধারীরা ছাড়া, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন,দেশকে অস্থিতিশীল করার একটা চক্রান্ত চলছে। বিগত দিনে আগুন সন্ত্রাসীদের কাজগুলো দেখেছি। আজকে তারা নিশ্চুপ হয়ে কিন্তু সুবোধ বালকের মতো শান্তির কথা বলছে। এটা মনে করবেন না যে তারা ষড়যন্ত্রের পথ থেকে দূরে সরে গেছে। কারণ, এদের জন্মই হত্যা ও সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। এদের বর্তমান যে অবস্থা সেটা হচ্ছে একটা সাময়িক রূপ মাত্র। তারা সাময়িক শান্তির আলখাল্লা গায়ে দিয়ে ভাল কথা বলছে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আমরা স্বপ্ন দেখছি- একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। এই স্বপ্ন পূরণের একমাত্র সারথি তিনি। আমাদের আরো বেশী সতর্ক থাকতে হবে শুধু তাঁর জন্য।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ঢাকা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগের সভাপতি মাকসুদুর রহমান।