দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮অক্টোবর ২০১৫: দুই বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের এমন দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি তার এ অবস্থানের কথা জানান৷স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার (জয়) বক্তব্যে একমত- উনি নিশ্চয়ই প্রমাণ পেয়ে একথা বলেছেন৷ জয়ের বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
তিনি বলেন, সজিদ ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে সত্যতা আছে৷ না হলে দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডে এ ধরনের ববর্রতা কেন? কারা এর সুবিধাভোগী? আগে অগি্নসন্ত্রাস করে যারা ব্যর্থ হয়েছেন হয়তো তাদের নতুন কোনো কৌশল হতে পারে৷ মন্ত্রী বলেন, সব সন্দেহ সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি৷ আশা করি, শীঘ্রই দুই বিদেশি হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো৷দুই বিদেশি হত্যায় আইএসের সম্পৃক্ততা নেই- এই দাবির পুনরাবৃত্তি করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, অতীতের ইতিহাস ও ঘটনাপ্রবাহে এমন হত্যাকাণ্ড কারা ঘটাতে পারে তা আমরা খতিয়ে দেখছি৷তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলেও জানান তিনি৷
সাংসদ মনজুরুল ইসলাম (লিটন) আত্মসমর্পণ না করলে তাঁকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷ লিটন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় সাংসদ৷ গত ২ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জে তাঁর গুলিতে শিশু শাহাদাত হোসেন (সৌরভ) আহত হন৷ এই ঘটনায় সাংসদকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে৷ সাংসদ লিটন এখন পলাতক আছেন৷ পুলিশ বলছে, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷মন্ত্রী বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, হবে৷ অপরাধ যেই করুক না কেন তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে৷
উল্লেখ্য,বুধবার নিজস্ব ফেসবুক পাতায় জয় লেখেন, দুই বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে৷ লন্ডন বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে তিনি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেন৷এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভায় অংশ নেন৷ তার সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন বোর্ডসদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ডাক, তার ও টেলিযোযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন৷
বৈঠকে বাজারে প্রচলিত এনার্জি ড্রিংঙ্ এ মাদক দ্রব্য ও ক্ষতিকারক দ্রব্য উপস্থিতির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ প্রমাণ পাওয়া গেলে এসব ড্রিংঙ্রে উত্পাদন বন্ধ করাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ এছাড়া রাজধানীর গুলশান, বনানী, মহাখালী, ধানমণ্ডি এলাকার সিসাবারগুলোও বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷