JB-1425979899দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ অক্টোবর ২০১৫: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। তবে শুধুমাত্র আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষাতেই অংশ নেবেন তারা। ফলে আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা, স্বতন্ত্র পে-স্কেল, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও উচ্চ শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভায় পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়।এরপর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অনুরোধ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পর জরুরি বৈঠক করে ভর্তি পরীক্ষা বর্জন থেকে সাময়িক সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় সমিতি।

এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, আমরা শুধুমাত্র ৯ তারিখের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে আমাদের আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এ পরীক্ষাটি অতি সন্নিকটে সেহেতু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাথা চিন্তা করে এবং জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে উপাচার্যের অনুরোধক্রমে আমরা আগামীকালকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছি।বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা তাদের ব্যাপার। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি।

তাই এ প্রসঙ্গে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি না।প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় সব ভর্তি পরীক্ষা ও ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতিসহ আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর প্রতি শুক্রবার ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসাবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।