হাসানুল-হক-ইনু-enu

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮অক্টোবর ২০১৫: দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটানো হয়েছে৷ এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ৷ আমি মনে করি এ চক্রান্ত বিএনপি-জামায়াতের৷ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অতীত ইতিহাস ও ঘটনার প্রেক্ষাপট প্রমাণ করে এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়৷ তাদের ইতিহাস জঙ্গিবাদ ও সন্তাসের ইতিহাস৷ এটি তাদের চক্রান্তের ফসল৷ এর আগেও বিএনপি-জামায়াত অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল৷ সেখানে তারা সফল হতে পারেনি বলে তারা নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে৷ তথ্যমন্ত্রী বলেন,আগুনসন্ত্রাসে গ্রেফতার হওয়া ৬৭/৬৮ জনের মধ্যে ৭/৮ জন বাদ দিলে বাকিরা বিএনপি-জামায়াতের৷

ইনু বলেন, হয় জেএমবি, জামায়াত না হয় বিএনপি এ কাজ করেছে৷ আমি মনে করি এ চক্রান্ত বিএনপি-জামায়াতের৷তথ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দীর্ঘদিন ধরে চলছে৷ এ তত্‍পরতা দূর করতে বর্তমান সরকার চমত্‍কার কাজ করছে৷ দীর্ঘদিন জামায়াতি তত্‍পরতা চলছে৷ আগুনসন্ত্রাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি৷তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত ছাড়া এই ধরনের চক্রান্ত অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করে না৷ নিকট অতীতে তারা ভয়াবহ সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছিল৷ এখন পর্যন্ত অন্তর্ঘাতমূলক অপরাধকে তারা অস্বীকার করেনি৷বরং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন, নিজামী মন্ত্রী ছিলেন, যখন বাংলা ভাই, আব্দুর রহমানের তাণ্ডব চলছিল, তখন বিএনপি বলেছিল, এগুলো মিডিয়ার সৃষ্টি৷ তখনই মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদী তত্‍পরতাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে৷ আজকেও একই ধরনের ঘটনা দেখতে পাচ্ছি৷

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালীয় এনজিওকর্মী চেজারে তাভেল্লা ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি খুন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেইসবুক পাতায় দুই বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের জড়িত থাকার বিষয়ে ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য থাকার কথা বলেন৷ অবশ্য বিএনপি শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে আসছে৷বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার প্রসঙ্গ টেনে ইনু বলেন, আগুন সন্ত্রাসে ৬০০ জনের বেশি মানুষ হাতেনাতে ধরা পড়েছে৷ তাদের মধ্যে ১০-১২ জন ছাড়া বাকি প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী৷ সুতরাং এটা এড়ানোর কোনো উপায় নেই৷ এই আগুন যুদ্ধ-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসে তাদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে৷ এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি৷ কিন্তু পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারিনি৷ যার কারণে এখনো ছিঁটেফোটা আক্রমণ হচ্ছে৷ এই আক্রমণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি গভীর ষড়যন্ত্রের ফল, নাকি বিএনপি জঙ্গিবাদী চক্রের আরেকটা নতুন পন্থা- সব কিছু আমরা খতিয়ে দেখছি৷

দেশে জঙ্গিবাদ নেই- বিএনপির এমন দাবিকে ডাহা মিথ্যা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই কথার মধ্য দিয়ে আসলে তারা জঙ্গিবাদকে আড়াল করার চেষ্টা করছে, খুনিদের রক্ষার চেষ্টা করছে এবং নিজেদের আগুন যুদ্ধের মামলার বিচার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে৷আমার এতে মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়া ও তার মিত্ররা ক্ষমতায় থাকার সময় যেভাবে জঙ্গিবাদকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে৷ একই কৌশল তারা এখনো গ্রহণ করেছেন৷ তথ্য বলছে, প্রত্যেকটা খুনি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তারা হয় জেএমবি, নয় জামায়াত, নয় বিএনপি৷