দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ অক্টোবর ২০১৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুই বিদেশি নাগরিক খুনের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত না করেই সরকার বিরোধী দলকে’ ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে অপপ্রচার শুরু করেছে৷ বিরোধী দল ও মতকে দমন করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে৷বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন৷মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত বিস্ময় এবং ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সমপ্রতি ইতালি ও জাপানি নাগরিকের নৃশংস, ঘৃন্য খুনের পরপরই সরকার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত না করে বিএনপিকে ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার অপপ্রচার শুরু করেছে৷একই সঙ্গে বিএনপি ও বিরোধী মতকে দমন করবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা আরোপ করছে৷
বিএনপির এই নেতা বলেন,আমরা বিদেশি নাগরিকদের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি৷ সরকার বরাবরের মতোই তাদের ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য, ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে চাইছে৷বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, ইতিমধ্যে বিরোধী নেতাদের হয়রানি ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে৷ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে৷ যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হকসহ যশোরের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইসমাইল, রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদুন্নবী এবং বগুড়া জেলা যুবদল সভাপতি সিপার আল বখতিয়ারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সামপ্রতিক কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো সুষ্ঠু তদন্ত না করে বিএনপিকে দোষারোপ করে প্রকৃত ঘটনা থেকে জনগণের ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে সরকার৷দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন কারাবন্দী রুহুল কবির রিজভী অত্যন্ত অসুস্থ অবস্