দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ০৭ অক্টোবর ২০১৫: বগুড়া মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের দু’ গ্র“পের সংর্ঘষের জেরে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা ও বিকাল ৪ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হলের ডাইনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়ার কর্তৃত্ব নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের আহত ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়। এরা হলো-শিপনকান্তি বড়–য়া, সাইদুর রহমান, বিজয় বড়–য়া, আশেকুজ্জামান, তানভীর আলম, রাজেশ দেব ও বুদ্ধদেব দাস। তারা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুর থেকে হল ছাড়তে শুরু করে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ সুত্র জানায়, ডাইনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়া নিয়ে বিরোধে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ঘ বাঁধে। কলেজের নতুন ছাত্রাবাসে (ডরমেটরি) লাঠি ও রড নিয়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের উপর হামলা চালায়। পরে কলেজের মুল ছাত্রাবাসে হামলা হলে ৩টি কক্ষ ভাংচুর হয়। ঘটনার পর পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিএমএ নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বুধবার সকাল ১০ টায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভা আহবান করা হয়। সভায় কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নিদের্শ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিদেশী শিক্ষার্থী ও ২য় বৃত্তিমুলক এমবিবিএস মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ের পরীক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.একেএম আহসান হাবিব জানান, সংর্ষের পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কলেজ বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। আহত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা সকলেইে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ডায়নিং হলের ব্যবস্থাপনায় নতুন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের এক গ্র“প তাতে বাধা দেন। এর জেরে সংঘর্ষ হয়। তাদের অভিযোগ, বর্তমান কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ার পরও কলেজ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অসাংগঠনিক ভাবে কার্যক্রম চলছে। আর নতুন কমিটি গঠনের দাবি ও কর্তৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে গত কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিলো বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।