দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ অক্টোবর ২০১৫: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শক্তিশালী এফআইইউ গঠনের ওপর গুরম্নত্বারোপ করেছে৷ দেশের পেমেন্ট সিস্টেমে এবং আর্থিক খাতের ব্যাপক আধুনিকায়নে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষ করে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ফোন ও স্মার্ট কার্ডভিত্তিক আর্থিক ট্রান্সফারের ৰেত্রে দ্রুত এবং সুবিধাজনক উন্নয়নের ফলে একটি নিখুঁত এএমএল/সিএফটি অঞ্চল গঠন করা সম্ভব হয়েছে৷ এসব টেকসই পদক্ষেপ মাদক ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ে এফএটিএফ সংক্রানত্ম আশঙ্কা থেকে দেশকে পুরোপুরি মুক্ত করেছে৷
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ৬ অক্টোবর পেরুর লিমায় অনুষ্ঠিত ‘ইমপ্যাক্ট অব ডি-রিস্কিং/ডি-ব্যাংকিং অন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রেমিট্যান্স’ শীর্ষক কমনওয়েল্থ সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নরদের এক সভায় সভাপতিত্ব করেন৷ কমনওয়েল্থ এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মি. দিওদাত মহারাজ সভায় অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান৷ সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল ভেগা সেরানো৷ বিশ্বের ১৫টিরও বেশি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ সভায় উপস্থিত ছিলেন৷
স্বাগত বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান কমনওয়েল্থ সিনিয়র কর্মকর্তাদের এক সভায় বাংলাদেশের পরিপ্রেৰিতে একটি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে রেমিট্যান্সের সম্ভাব্য উপযোগিতার ওপর বক্তব্য দেন৷ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর (এসডিজি) অর্থায়নের উত্স হিসেবে রেমিট্যান্সের কৌশলগত ভূমিকার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি চারটি কৌশলগত নীতি যেমন বৈশ্বিকভাবে সুরক্ষিত এবং ক্রসবডর্ার শ্রমবাজার এর উদারিকরণ, শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা এবং দৰতা অর্জন, সুরৰিত ও দৰ, সাশ্রয়ী এমএল-টিএফ প্রভাবমুক্ত রেমিট্যান্স চ্যানেল এবং রেমিট্যান্সকে বিনিয়োগে রূপানত্মর করতে উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক বাজারকে আরও বেগবান করার কথা বলেন৷ এছাড়া, ড. রহমান গেস্নাবাল ক্যাপিটাল (যারা মূলধন বাজার সংক্রানত্ম খবর, তথ্য ও মতামত প্রদান করে) এর এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাৰাত করেন৷
তিনি তাদের সাথে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) সহায়তায় বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলারের ‘টাকা বন্ড’ ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তিনি উলেস্নখ করেন, এই ‘টাকা বন্ড’ যে কেউ কিনতে পারবে৷ বিদেশের ব্যাংকে টাকা রাখলে কোনো সুদ পাওয়া যায় না৷ কিন্তু টাকা বন্ডে ৪/৫ শতাংশের মতো সুদ থাকবে৷ স্থানীয় বন্ড মার্কেটের উন্নয়নকে তরান্বিত করা এবং আনত্মর্জাতিকভাবে বাংলাদেশী মুদ্রার অখ-তা বজায় রাখার ৰেত্রে এটি একটি অনুঘটক পদৰেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে৷ গভর্নর রহমান আরও বলেন যে, আর্থিক খাত উন্নয়ন কৌশলের অংশ হিসেবে বিনিয়োগে অর্থায়ন এবং অভ্যনত্মরীণ বাজার উন্নয়নে টাকা বন্ড প্রবর্তনের সর্বোচ্চ ইতিবাচক প্রভাবকে কাজে লাগতে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএফসি’র সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করবে৷
এরপর ড. আতিউর রহমান বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কৌশিক বসুর সাথে সাক্ষাত করবেন এবং ৭ অক্টোবর এল্যায়েন্স ফর ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই) আয়োজিত জি-২৪/এএফআই নীতিনির্ধারকদের গোলটেবিল বৈঠকের ‘বিল্ডিং রোবাস্ট অ্যান্ড প্রোপরশনেট এএমএল/সিএফটি রেজিমস্্ ইন ডেভলোপিং কান্ট্রিজ’ সেশনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করবেন৷