দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ অক্টোবর ২০১৫: বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস এর কোন সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই। ব্যক্তিগতভাবে কেউ তাদের আদর্শে বিশ্বাসী হতেও পারে। তবে আমরা এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হতে দেব না।শক্ত হাতে দৃঢ়তার সাথে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হবে। আমাদের দেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। সভায় সকল পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের প্রধান এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইজিপি বলেন, অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ, চরমপন্থী, নাশকতাকারী এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে। সেই সাফল্য ধরে রাখতে হবে। দেশে জেএমবি, হুজিসহ ভিন্ন নামে জঙ্গিবাদের উত্থান না ঘটে সেজন্য জঙ্গিদের অপতৎপরতার ব্যাপারে সর্তক ও সজাগ থাকতে হবে। ইতালি ও জাপানের দুই জন নাগরিক হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা হবে। তিনি খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি ( স্পেশাল ক্রাইম এন্ড প্রসিকিউশন) জনাব মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিগত প্রান্তিকের (তিন মাস) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
দেশব্যাপী অপহরণ, খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অপরাধ পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত প্রান্তিকের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে মোট মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আলোচিত সময়ে পুলিশ কর্তৃক বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে। পুলিশের কার্যকর ভূমিকার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার হয়েছে। তবে দস্যুতা, খুন এবং ধর্ষণ মামলা কিছুটা বেড়েছে।
সভায় বাংলাদেশ সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এডমিন অ্যান্ড অপস্) মো. মোখলেসুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট)মো. আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।