0দৈনিকবার্তা-ফেনী, ০৪ অক্টোবর ২০১৫: ফেনীর সোনাগাজীতে নিহত গিয়াস উদ্দিন ও আজিজুল করিম লিটনের পরিবারে আহাজারি কিছুতেই থামছেনা । পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ভরসা ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় তাদের পরিবার। এদিকে সোনাগাজীতে ২৪ ঘন্টায় দুই যুবক নিহতের ঘটনায় এলাকার আতঙ্ক বিরাজ করছে।জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১ টার দিকে মাত্র ৭০ টাকার জন্য খুন হন উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের গিয়াস উদ্দিন (৩২)। একইদিন রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার ওলামা বাজারে সফি উল্যাহর দোকানে বাকীতে সিগারেট কিনতে যায় একই ইউনিয়নের আবুল হাসেমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন।
তার কাছে পূর্বে ৭০ টাকা পাওনা থাকায় সফি উল্যাহ তাকে সিগারেট দিতে অপারগতা জানালে গিয়াস উদ্দিনের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। সিগারেট না নিয়ে গিয়াস উদ্দিন বাড়ীতে গেলে রাত ১টার দিকে সফি উল্যার ছেলে মো. ভুলন, মাইন উদ্দিন ও নয়ন এবং তাদের বন্ধু আবু তৈয়ব সেলিম ও ফজলুল করিম রানাসহ ৫ থেকে ৭ জনের একটি দল কৌশলে ঘর থেকে বের করে। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্র সংলগ্ন দিঘীর পাড়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। তার শোর-চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আবু তৈয়ব সেলিম (২৮) ও ফজলুল করিম রানা (২৭) নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার মাত্র চব্বিশ ঘন্টা পর পূর্ব শত্র“তার জের ধরে খুন হন উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের যুবলীগকর্মী আজিজুল করিম লিটন (২৭)। জানা যায়, তার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে লিটনের সাথে তার চাচাতো ভাই নুরুল আফছারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার জুমার নামায শেষে বাড়ী ফেরার পথে লিটনকে অপহরণ করে দূর্বৃত্তরা। পরে অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে না পেয়ে তার মা ছায়েরা খাতুন ৬ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে পুলিশ একটি ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নুরুল আফছারের স্ত্রী সূরমা আক্তার ও তার মেয়ে হামিদা খাতুনকে আটক করে। নিহত লিটন ওই গ্রামের আলী আহম্মদ কেরানীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের মা ছায়েরা খাতুন বাদী হয়ে নুরুল আফছার, মো. তারেক, জামশেদ আলম, জিয়াউল হক, নুরুজ্জামান চুট্টু ও সুরমা বেগমের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক হারুন উর-রশিদ বলেন, পৃথক মামলায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।