355

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ অক্টোবর ২০১৫: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সভা- সেমিনারে সবাই বাঘ সংরক্ষণের কথা বলে কিন্তু তাদের কাজ করতে দেখি না৷ আমরা এতো সভা করি, সেমিনার করি, বিদেশ সফর করি, পুরস্কার আনি কিন্তু বাঘ বা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারি না৷ রোববার বন ভবনে সুন্দরবনের বাঘ শিকার, প্রাণী ও আবাসস্থল পরিবীক্ষণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷এসময় বনমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যে দেশে ৩ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বাজেট হয়, সেই দেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ১০০ কোটি টাকাও বরাদ্দ হয় না৷ তাহলে প্রাণীকূল কীভাবে রক্ষা পাবে?’ বাঘ ও বন্যপ্রাণী পাচারকারীরা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় বলেও মন্তব্য করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু৷তিনি আরো বলেন, বাঘ ও বন্যপ্রাণী পাচারকারীরা শক্তিশালী চক্র৷ এদের হাত অনেক শক্তিশালী, সে কারণে বাঘের চামড়া বা বন্যপ্রাণী পাচার রোধ করা কঠিন৷মন্ত্রী বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে প্রতিজ্ঞাশীল৷ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে৷ আমাদের আন্তরিকতা আছে, আমরা বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বদ্ধপরিকর৷’বন ও পরিবেশ সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, যেভাবে বাঘের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে তাতে আগামী কয়েক দশকে পৃথিবী থেকে বাঘ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে৷ বতর্মানে পৃথিবীতে ৪ হাজার বাঘ আছে৷ যা ১৯০০ সালে ছিল ১ লাখ৷বাঘের খাদ্যের অপ্রতুলতা, শিকারীদের তত্‍পরতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থাকলে বাঘের সংখ্যা আরো হ্রাস পাবে বলে জানান বক্তারা৷ এসময় সুন্দরবনে বতর্মানে ১০৬টি বাঘ আছে বলেও জানান তারা৷

সেমিনার থেকে বাঘ সংরক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম জোরদার করার পাশাপাশি টাস্কফোর গঠনের দাবিও জানানো হয়৷প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন, ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (ডবি্লউআইআই) সিনিয়র প্রফেসর ড. ওয়াইভি ঝালা, বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে প্রমুখ৷