মির্জা-ফখরুল-ইসলাম-আলমগীর1_5748

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ অক্টোবর ২০১৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্বহীন উক্তি তদন্তে বাধা সৃষ্টি করবে৷ এতে প্রকৃত আততায়ীকে চিহ্নিত করতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে৷ রোববার পৌনে তিনটায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন৷ বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল সরকারের বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার নাম উল্লেখ করেননি৷অবশ্য মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে দেওয়ার দুই ঘন্টা আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশি হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে৷বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দুজন বিদেশি নাগরিককে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক৷ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দায়িত্বহীন উক্তি কেবলমাত্র তদন্তের ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না, বরং প্রকৃত আততায়ীকে চিহ্নিত করতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে৷সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দু’জন বিদেশি নাগরিককে হত্যাকারী আততায়ীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল৷এর আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেলা এক টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে প্রধানমন্ত্রীর সেই সংবাদ সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেন দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ বেশ কয়েকজন নেতা৷ পরে বিএনপির মুখপাত্র দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান৷

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শাসক দলের প্রধানের কাছ থেকে আমরা দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করি৷ দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা করি৷ দোষীদের শাস্তি দাবি করি৷ দ্রুত তদন্ত দাবি করছি৷ কিন্তু একটা তদন্তাধীন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত৷এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশ সাদাপোশাকে অভিযান চালায়৷ কিন্তু র্যাব সাদা পোশাকে বিরোধী দলের নেতাকর্মী তুলে নেয়৷ এটা আইনের মধ্যে পড়ে বলে জানা নেই৷ তারা তুলে নিয়ে অস্বীকার করছে৷ এতে করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে৷