দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ অক্টোবর ২০১৫: নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধে ‘ইকোলজিক্যাল রেস্টোরেশন অব ফোর রিভার’ শীর্ষক জরিপ কাজ হাতে নেয়া হয়েছে৷ এতে সময় লাগবে দু বছর৷তিনি বলেন, এ দুবছর সময়ের মধ্যে নতুন করে যাতে নদী দুষণ না হয় এ জন্য আমরা সমন্বিত ভাবে কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি৷ নদীর পারের কলকারখানাগুলোর ইটিপি ব্যাপারে সার্বক্ষনিক তদা্রকি, পরিবেশ রক্ষা আইনে মোবাইল কোর্ট সনি্নবেশিত করা, জরিমানা বাড়ানো এবং সচেতনামূলক কর্মকান্ড জোর দার করা৷
নদী দূষণ ও দখল রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে নদীগুলো সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত করা না গেলেও যাতে আর দূষিত না হয় সে লক্ষ্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ মন্ত্রী রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঢাকার চারদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, বালু ও তুরাগ নদীর তীরে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানার বর্জ্য, গৃহস্থালি, ট্যানারি, হাসপাতাল ও ডাইং কারখানার বর্জ্য থেকে রদীকে র্দষণমুক্ত করা সংক্রানত্ম এক আনত্মঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, রাজউক এর চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূইয়া, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রইছউল আলম মন্ডল ও বিআইডবিস্নউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন৷ মন্ত্রী বলেন, দূষণরোধে পরিবেশ সংরৰণ আইনটি কঠোরভাবে পালন, জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে ও শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে৷ তিনি বলেন, দূষণরোধে স্বল্পমেয়াদী কি কি পদৰেপ নেয়া যায় সেলৰ্যে সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো আগামী দু’মাসের মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি করবে৷ পরিকল্পনাগুলো সমন্বিতভাবে নদী সংক্রানত্ম টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে বাসত্মবায়ন করা হবে৷
তিনি বলেন, নদীর পাড়ে দখল ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ একনেক অনুমোদন দিলে এ কাজ শুরম্ন হবে৷ ওয়াকওয়ের পাশাপাশি বনায়ন করা হচ্ছে, যা খুবই দৃষ্টিনন্দন৷ শাজাহান খান বলেন, কর্ণফুলী নদীকে দুষণমুক্ত করতে একইভাবে পরিকল্পনা নেয়া কবে৷ এছাড়া মেঘনা নদী থেকে ঢাকায় পানি আনা হচ্ছে ট্রিটমেন্টের জন্য, এ নদীর পানি যেন দূষিত না হতে পারে সে বিষয়ে অগ্রিম উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে৷ মন্ত্রী জানান, শনিবার থেকে ১২ ফুট ড্রাফটের নৌযান পূর্ণ জোয়ারের সুবিধা নিয়ে চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খুলে দেওয়া হয়েছে৷